শিল্প বাণিজ্য, Publish: 17/04/2018
মোবাইল কোম্পানিগুলোকে বকেয়া রাজস্ব পরিশোধের তাগিদ
মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোকে বকেয়া রাজস্ব পরিশোধের তাগিদ দিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। এছাড়া দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি ও আটকে থাকা রাজস্ব দ্রুত উদ্ধারে কোম্পানিগুলোকে আদালতের বাইরে সালিসী পদ্ধতিতে বা বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তিতে (এডিআর) আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। গতকাল সোমবার জাতীয় রাজস্ব  বোর্ড (এনবিআর) আয়োজিত প্রাক বাজেট আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে এডিআর ব্যবস্থাকে কার্যকর করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।

প্রাক বাজেট আলোচনায় উপস্থিত হয়ে নিজেদের বক্তব্য তুলে মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর সংগঠন অ্যামটব, বাংলাদেশ বেভারেজ ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন  এবং বাংলদেশ সিরামিক উত্পাদক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন।

দেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার ভোক্তা পর্যায়ে আরো সহজলভ্য করতে এ খাতের উপর বিদ্যমান শুল্ক-কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে অ্যামটব। বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারে শুল্ক-করের হার প্রায় ২২ শতাংশ। এছাড়া ফোর জি সমর্থন করে - এমন মোবাইল হ্যান্ডসেটের আমদানিতে শুল্ক-কর কমানো, কোম্পানিগুলোর দ্বৈত কর পরিহার করা, বার্ষিক বিক্রির (টার্নওভার) উপর ন্যুনতম কর প্রত্যাহারসহ ১৯টি দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। এসময় অ্যামটবের মহাসচিব টিআইএম নূরুল কবীরসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় পর্যায়ে  বেভারেজ বা কোমল পানীয় উত্পাদনের উপর বিদ্যমান সম্পূরক শুল্ক কমানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বেভারেজ ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। বর্তমানে বেভারেজের উত্পাদনে সব মিলিয়ে শুল্ক-করের ভার প্রায় ৪৪ শতাংশ। সংগঠনটি মনে করে, অত্যধিক শুল্ক করের কারনে দেশে এ খাতের বানিজ্য এখন নিম্নগামী। আলোচনায় অংশ নিয়ে বেভারেজ উত্পাদক সমিতির পক্ষ থেকে কোকাকোলার পরিচালক শামীমা আক্তার বলেন, বেভারেজের উপর বিশ্বে বাংলাদেশের করহার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

সিরামিক উত্পাদক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিসিএমইএ স্থানীয় সিরামিক শিল্পকে সুরক্ষা দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। এর  অংশ হিসেবে আমদানিকৃত সিরামিকে শুল্ক বাড়িয়ে দেওয়া ও স্থানীয় পর্যায়ে উত্পাদিত সিরামিকের উপর সম্পূরক শুল্ক কমানোর দাবি জানানো হয়। এসময় সিরামিক পণ্য আমদানিতে মিথ্যা ঘোষণায় কম মূল্য দেখানোর ইস্যুটি আলোচনায় আসে। স্থানীয় সিরামিক উত্পাদকরা অভিযোগ করে বলেন, টাইল্স, টেবিলওয়্যারসহ অন্যান্য সিরামিক পণ্য আমদানিতে ভয়াবহ রকমের কম মূল্য দেখানো হচ্ছে। এর ফলে একদিকে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে স্থানীয় শিল্প প্রতিযোগিতায় মার খাচ্ছে। সংগঠনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম ইসলাম মোল্লা বিস্তারিত দাবি তুলে ধরেন।