শেষের পাতা, Publish: 14/06/2018
প্রবাসীদের রেমিটেন্সে কোনো ভ্যাট বা কর নেই: এনবিআর
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সে কোনো ভ্যাট বা কর বসানো হয়নি বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। বুধবার তিনি এই তথ্য জানান।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, 'ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের ওপর ভ্যাট বা কর বসানো হচ্ছে বলে যে অপপ্রচার করা হচ্ছে সেই তথ্য সঠিক নয়।'
এনবিআরের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা সৈয়দ এ মুমেন বলেন, 'ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের ওপর ভ্যাট বা কর বসানোর বিষয়টি গুজব।
এ কারণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের স্টেটমেন্ট হলো, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপপ্রচারে কোনো বিভ্রান্ত্ম হওয়া যাবে না।'

এদিকে গতকাল বিকালে সৈয়দ এ মুমেন গণমাধ্যমে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছেন। বিজ্ঞপ্তিতে উলেস্নখ করা হয়েছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে বিদেশ থেকে পাঠানো রেমিটেন্সের ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট আরোপিত হয়েছে মর্মে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও গুজব। দেশের বৈধ রেমিটেন্স প্রবাহ বন্ধ করে হুন্ডির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠানোর অপপ্রয়াস হিসাবে এই প্রচারণা চালানো হতে পারে বলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) মনে করে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মূল্য সংযোজন কর আরোপিত হয় পণ্য বা সেবা সরবরাহের ওপর।
বাংলাদেশের প্রবাসীরা দেশের বাইরে কঠোর শ্রমের মাধ্যমে যে সেবা দিয়ে থাকেন তার বিনিময়ে বৈদেশিক মুদ্রা আসে। এ সম্পূর্ণ কার্যক্রম মূল্য সংযোজন কর আইন-১৯৯১ এর ধারা ৩ এর উপধারা ২ (ক) মোতাবেক সেবা রফতানি হিসেবে বিবেচিত। সুতরাং এ রফতানি কার্যক্রম ভ্যাটের আওতাবহির্ভূত। অর্থাৎ রেমিটেন্স সীমা নির্বিশেষে এ খাতের ওপর কোনো ভ্যাট প্রযোজ্য নয়। তাই প্রবাসীরা বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে যেকোনো পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্র্রা বা রেমিটেন্স পাঠাতে পারেন।

বিজ্ঞপ্তিতে উলেস্নখ করা হয়েছে, অবৈধ চ্যানেল বা হুন্ডির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা বা রেমিটেন্স পাঠাতে হলে তা জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে পারে না। তাই হুন্ডির মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠানো থেকে বিরত থাকার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হচ্ছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড হুন্ডি বা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধের বিষয়ে সবসময় সতর্ক রয়েছে।