শিল্প বাণিজ্য, Publish: 12/07/2018
ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ফ্রড নিয়ে আইসিসিবির কর্মশালা
ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় পারস্পরিক বোঝাপড়ায় গুরুত্বারোপ
প্রতারণা ও তথ্য নিরাপত্তার ঝুঁকি বিভিন্নভাবে ও বিভিন্ন চ্যানেলে আসতে পারে। ফলে এ-সংক্রান্ত অপরাধীদের মোকাবেলা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সুনির্দিষ্ট জ্ঞান থাকা জরুরি। বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে কৌশলগত পরিকল্পনা থাকলে যেকোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার আগেই ঝুঁকি চিহ্নিত করা ও তা কমানোর সুযোগ বেশি থাকে। মঙ্গলবার ‘চেঞ্জিং ফেসেস অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ফ্রড: কারেন্ট রিস্কস, পিভেনশন অ্যান্ড রেসপন্সেস’ শীর্ষক এক কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান। আইসিসি বাংলাদেশ কর্মশালাটির আয়োজন করে।

মাহবুবুর রহমান বলেন, কিছু ক্ষেত্রে ঝুঁকি মোকাবেলার জন্য নতুন প্রযুক্তিতে বিনিয়োগের প্রয়োজন হতে পারে। আবার প্রাতিষ্ঠানিক সাইলোগুলোর মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করা ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণও দেয়া যেতে পারে। সব ক্ষেত্রেই যেকোনো পদক্ষেপ এমনভাবে নিতে হবে, যেন গ্রাহকদের ঝুঁকি স্পর্শ করার আগেই তা চিহ্নিত করার সক্ষমতা প্রতিষ্ঠানের থাকে।

তিনি আরো বলেন, জিডিপি অনুযায়ী বাংলাদেশ বিশ্বের ৩৩তম বৃহত্তম অর্থনীতি ও দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক উৎপাদনকারী দেশ। বাংলাদেশ উদীয়মান হিসেবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় পরিচিতি পেয়েছে। ফলে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সেবা খাতগুলোর প্রসার হয়েছে। এসব খাতের মধ্যে রয়েছে শিপিং, ফ্রেইট ফরওয়ার্ডিং, কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স, কমার্শিয়াল ব্যাংকিং ও লিগ্যাল সার্ভিস। স্বচ্ছন্দ বাণিজ্যিক লেনদেন ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য কয়েকটি ক্ষেত্রে শক্তিশালী আইনগত সহায়তা প্রয়োজন। এগুলো হলো— ভ্যাট, ট্যাক্স ও কাস্টমস-সংক্রান্ত বিষয়াদি, বিক্রয় চুক্তির শর্তাবলি নির্ধারণ, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ফরেন এক্সচেঞ্জ নিয়ন্ত্রণ আইন মেনে নেয়া, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আইন ইত্যাদি।

আইসিসি বাংলাদেশের নির্বাহী বোর্ডের সদস্য মো. ফজলুল হক, সেক্রেটারি জেনারেল আতাউর রহমান, আইসিসির কমার্শিয়াল ক্রাইম সার্ভিসেসের ডিরেক্টর ও প্রধান পতেংগাল মুকোন্দন প্রমুখ কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন। রাজধানীতে কার্যরত ৩৭টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ১৯৩ জন প্রতিনিধি কর্মশালায় অংশ নেন।