শিল্প বাণিজ্য, Publish: 12/07/2018
র্অথবছর ২০১৭-১৮
র্অথবছর ২০১৭-১৮ তৈরি পোশাকের প্রধান বাজার জার্মানি
তিন দশক ধরে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের প্রধান বাজার যুক্তরাষ্ট্র। তবে সদ্য সমাপ্ত ২০১৭-১৮ অর্থবছর শেষে একক দেশের হিসাবে তৈরি পোশাকের প্রধান বাজার এখন জার্মানি। গত তিন বছর ধরে বিভিন্ন প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি রফতানি হয় জার্মানিতে। তবে বছর শেষের হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র প্রধান বাজারের মর্যাদা ধরে রাখতে সক্ষম হয়। এবার আর সেটা সম্ভব হয়নি। গত দুই প্রান্তিকের মতো বছর
শেষেও জার্মানিতে রফতানির পরিমাণ ছিল বেশি।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এবং বিজিএমইএর গবেষণা সেল সূত্রে জানা গেছে, সমাপ্ত অর্থবছরে জার্মানিতে পোশাক রফতানির পরিমাণ ছিল ৫৫৮ কোটি ডলার। আগের বছরের তুলনায় বেশি হয়েছে ৯ শতাংশের মতো। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি হয় ৫৩৫ কোটি ডলার। আগের বছরের তুলনায় রফতানি বেশি হয়েছে ২ দশমিক ৮৫ শতাংশ। তথ্য বিশ্নেষণে দেখা যায়, গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি আগের বছরের তুলনায় কম ছিল। আগের বছরের ৫৬২ কোটি ডলার থেকে রফতানির পরিমাণ ৫২০ কোটি ডলারে নেমে আসে। তারপরও প্রধান বাজারের মর্যাদা অটুট ছিল। আলোচ্য ওই দুই বছরে জার্মানিতে পোশাক রফতানি হয়েছে ৪৬৫ ও ৫১৩ কোটি ডলার। অর্থাৎ গত তিন বছরে যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় জার্মানিতে রফতানি বেড়েছে অনেক বেশি হারে।
একক দেশে মোট পোশাক রফতানিতে যুক্তরাষ্ট্রের অংশ এখন ১৭ শতাংশের কিছু বেশি। আগের দুই বছরে এ হার ছিল ২০ এবং ১৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ। অথচ এক সময় সেখানে দেশের মোট পোশাক রফতানির ৩০ শতাংশ যেত। পোশাকের নিট এবং ওভেন দুই ক্যাটাগরিতে রফতানি বৃদ্ধির হার অন্য দেশের তুলনায় ধারাবাহিকভাবে কম হচ্ছে। এ জন্য অপপ্রচারকে দায়ী করে বিজিএমইএ। সংগঠনের সহসভাপতি মোহাম্মদ নাছির সমকালকে বলেন, সেখানে দেশের পোশাক নিয়ে ব্যাপক অপপ্রচার আছে। বেশ কিছু এনজিও এবং শ্রমিক সংগঠন বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছে। এ কারণে সে দেশে পোশাক রফতানিতে গতি কম। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র সারা বিশ্ব থেকেই পোশাক আমদানি কমিয়ে দিয়েছে। সেখানে এ পরিস্থিতির উন্নতি নিয়ে সন্দিহান তিনি।