অর্থ বাণিজ্য, Publish: 12/10/2018
শ্রীলঙ্কার বন্দর ব্যবহারে আলোচনা চলছে ॥ বিজিএমইএ
পোশাক পণ্য রফতানিতে শ্রীলঙ্কার সমুদ্র বন্দর ব্যবহারে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে। দেশটির বন্দর ব্যবহার করা হলে অন্তত সময় বাঁচবে ১০ দিন। এতে বাড়বে রফতানি আয়। এ লক্ষ্যে দুই দেশের মধ্যে একটি কমিটি গঠিত হবে। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর বিজিএমইএ ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। বাংলাদেশ সফরে আসা শ্রীলঙ্কার উন্নয়ন কৌশল ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়কমন্ত্রী মালিক সামারাবিক্রমার নেতৃত্বে দেশটির শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র বৈঠকের বিষয়ে জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, দুই দেশের মধ্যে প্রথমত কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে, পোশাক পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে কিছু পণ্য শ্রীলঙ্কায় পাঠাতে পারি, এতে লিড টাইম (পণ্য পরিবহনের সময়) কম লাগবে, খরচ কমবে। তা করতে আমরা একটা কমিটি করব। বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার দুই দেশের ব্যবসায়ীরা এতে থাকবেন। কমিটি করে আমরা দেখব উইন উইন সিচুয়েশনে যেটা বেটার আমরা তা দেখব। সামনের দিকে এগিয়ে যাব। সিদ্দিকুর বলেন, দ্বিতীয়টি হচ্ছে তাদের অনেক পোর্ট আছে, আমরা যদি তাদের পোর্ট ব্যবহার করি, তাহলে লিড টাইম কমে আসবে। বর্তমানে সিঙ্গাপুরের পোর্ট ব্যবহার করায় ২৬ থেকে ২৭ দিন সময় লাগে। যদি আমরা শ্রীলঙ্কার পোর্ট ব্যবহার করি ১৭ থেকে ১৮ দিন সময় লাগবে। এতে অন্তত ১০ দিনের মতো সময় কমে যাবে। শ্রীলঙ্কার উন্নয়ন কৌশল ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়কমন্ত্রী মালিক সামারাবিক্রমা বলেন, পোশাক খাতে দুই দেশের বাণিজ্য কীভাবে বাড়ানো যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ইউরোপিয়ান ও অন্যান্য দেশে পোশাক রফতানি বাড়াতে দুই দেশই কাজ করতে আগ্রহী। শুধু গার্মেন্টস নয়, অন্যান্য খাতেও। দুই দেশের বাণিজ্য বাড়াতে আমরা এক সঙ্গে কাজ করতে চাই।
এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, আমরা দুই দেশ এক সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করছি। সার্কের মধ্যে আঞ্চলিক বাণিজ্য বাড়াতেও কাজ চলছে। শ্রীলঙ্কার পোর্ট ব্যবহার করলে পণ্য পাঠানোর ক্ষেত্রে আমাদের সময় বাঁচবে। আমরা মনে করি এতে দুই দেশের ব্যবসা আরও বাড়বে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, এটি শুধুই প্রাথমিক আলোচনা। এখনও কোন চুক্তি সই হয়নি। অনুষ্ঠানে দুই দেশের সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।