[ শেষের পাতা ] 2018-08-11
 
৬২৭ জন এ বছর হজে যেতে পারছেন না
 
এ বছর নিবন্ধন করলেও ভিসা জটিলতা, অসুস্থতা, ব্যক্তিগত কারণসহ বেশ কিছু কারণে এজেন্সিগুলো সৌদি আরবে বাড়িভাড়া করতে দেরি করে। এতে ভিসা সংগ্রহে ধীরগতি আসায় বাংলাদেশ থেকে হজ পালনে যেতে পারছেন না ৬২৭ জন।

এ কারণে ভিসা সংগ্রহের সময় ৭ আগস্ট শেষ হলেও সরকারের পক্ষে সৌদি দূতাবাসকে সময় বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করা হয়। দূতাবাস আনঅফিশিয়াল ভিসার জন্য আরও দু’দিন আবেদনপত্র জমা নেয়। এর পরও ৬২৭ জনের আবেদনপত্র জমা পড়েনি। এর মধ্যে সরকারি ৩৯টি ও বেসরকারি ৫৮৮টি।

আটকে পড়া হজযাত্রী ও তাদের স্বজনদের অভিযোগ এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে। তারা বলছেন, এজেন্সিগুলো যথাসময়ে বাড়ি ভাড়া না করায় ও ভিসা আবেদন না করায় এবং তাদের অবহেলা আর উদাসীনতায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে এ অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে হজ এজেন্সি মালিকদের সংগঠন হাব।

এ প্রসঙ্গে সংগঠনের মহাসচিব শাহাদাত হোসাইন তসলিম শেয়ার বিজকে বলেন, এ বছর যারা হজে যাওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন, তাদের কেউ কেউ অসুস্থতাসহ নানা কারণে যেতে চাইছেন না। মন্ত্রণালয় তাদের কাছে জানতে চেয়েছে, কেন তারা যাবেন না। না যাওয়া যাত্রীর একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। প্রতি বছরই এমনটা হয়ে থাকে।

এদিকে ৬২৭ জনের ভিসা না হওয়ায় ব্যাখ্যা চেয়ে এজেন্সিগুলোকে চিঠি দিয়েছে হজ অফিস। তাদের বিরুদ্ধে কোনো অনিয়মের অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ ব্যবস্থাপনা মনিটরিং কমিটির সভাপতি ও ধর্ম মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বজলুল হক হারুন।

তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় বা সৌদি দূতাবাসের দোষে নয়, কিছুটা এজেন্সির কারণে ৬২৭ জন যেতে পারছেন না। আর যে ব্যক্তি পাসপোর্ট দিয়েছেন, তারও দোষ আছে। পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তা তার দেখা উচিত।
তথ্যমতে, শুক্রবার (১০ আগস্ট) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ও সৌদি এয়ারলাইনসের ১৩ ফ্লাইটে হজযাত্রী পরিবহনের কাজ চলছে। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ছয়টি ও সৌদি এয়ারলাইনসের সাতটি ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে। এ দুই এয়ারলাইনসের মোট ৩০৪টি ফ্লাইটে এক লাখ ৩৪৬ হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন।

হজ এজেন্সি অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি আবদুস সুবহান ভুইয়া বলেন, এ বছর মোট ৬২৭ জন ভিসার জন্য আবেদন করেননি। এ কারণে তাদের ভিসা হয়নি। কেন করেননিÑএ বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা হাবের পক্ষ থেকে জেনেছি তারা স্বেচ্ছায় আবেদন জমা দেননি। তবে তারা চাইলে আগামী বছর যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে তাদের আর নিবন্ধন করা লাগবে না।

হজক্যাম্পের পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, সরকারি ও বেসরকারিভাবে মোট ৬২৭ জন ভিসার জন্য আবেদন করেননি। কেন করেননি, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে আমরা কারণ জানতে তাদের চিঠি পাঠাব। জবাব পেলে বলা যাবে। তারা যে নিবন্ধন করেছেন, চাইলে এর মাধ্যমে আগামীতে হজে যেতে পারবেন।
এ বছর যাত্রীস্বল্পতার কারণে বিমান বাংলাদেশের এয়ারলাইনসের মোট ১৫টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়। এতে বিমানের ছয় হাজার যাত্রীর ক্যাপাসিটি লস হয়। গত বছর ভিসা জটিলতায় যাত্রী না পেয়ে ২৪টি হজ ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হয়েছিল বিমান। তাতে ৪০ কোটি টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয় রাষ্ট্রায়ত্ত এই বিমান পরিবহন সংস্থা।

উল্লেখ্য, ১৪ জুলাই শুরু হয়ে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত চলবে হজ ফ্লাইট। ২৭ আগস্ট হজের ফিরতি ফ্লাইট শুরু হয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর তা শেষ হবে। জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২০ আগস্ট হজ হতে পারে।
Print Close  
Print Close  
No link found
            Top
            Top
 
Home / About Us / Benifits /Invite a Friend / Policy
Copyright © Hawker 2009-2010, Allright Reserved