[ প্রথম পাতা ] 2018-09-26 |
|
|
|
|
বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি ৪ দিন বন্ধ
|
|
|
বেনাপোলে বন্দর দিয়ে গত চারদিনেও চালু হয়নি দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি বানিজ্য। গতকাল মঙ্গলবার সকালে দুই দেশের ব্যবসায়ী, বন্দর শ্রমিক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের যৌথ সভা কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই সম্পন্ন হয়। ভারতীয় ট্রাক শ্রমিক সংগঠন এবং মালিক সমিতি নানা অজুহাতে গত শনিবার দুপুর থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ করে দেয়।
ধর্মঘটের কারণে বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় আমদানি রফতানি পন্য বোঝাই কয়েক হাজার ট্রাক আটকা পড়েছে। বেনাপোল থেকে কোনো পণ্যচালানও যায়নি ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে। যার অনেকগুলোতে রয়েছে বাংলাদেশি রফতানিমুখী গার্মেন্টস শিল্পের কাঁচামাল, মাছ, পানসহ বিভিন্ন ধরনের পচনশীল পণ্য। আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দর থেকে পণ্য খালাসের ও দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্ট যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি কামল উদ্দিন শিমুল জানান, ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে বনগাঁও পৌর মেয়রের যোগসাজসে কিছু লোকাল ট্রাক মালিক ও শ্রমিকনেতা পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন অজুহাতে আমদানি রফতানি বন্ধ করে ট্রাক জট সৃস্টি করে ট্রাক প্রতি দুই হাজার টাকা করে ডেমারেজ আদায় করে আসছে দীর্ঘদিন থেকে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের ডেপুটি পরিচালক আমিনুল ইসলাম জানান, দুই দেশের শ্রমিকদের কোন্দলের কারণে আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে। তবে বন্দরে মালামাল খালাশ প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রযেছে।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে সরকার প্রতি বছর সাড়ে পাচ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করে থাকে। এই ভাবে ঘন ঘন আমদানি রফতানি বানিজ্য বন্ধ থাকলে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব হবে না। |