[ শিল্প বাণিজ্য ] 2018-09-26 |
|
|
|
|
রপ্তানিতে শুল্ক প্রত্যর্পণ শিথিল করল এনবিআর
|
|
|
রপ্তানিকারকদের সুবিধার্থে রিফান্ডের (ডিউটি ড্র ব্যাক বা শুল্ক প্রত্যর্পণ) শর্ত শিথিল করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ফলে ২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত পণ্য রপ্তানির বিপরীতে পিআরসি, ইএক্সপি ও বৈদেশিক মুদ্রা প্রত্যাবাসনের কাগজপত্র জমা দিয়ে রিফান্ড নেওয়া যাবে। সম্প্রতি এসংক্রান্ত একটি বিশেষ আদেশ জারি করা হয়েছে।
শুল্ক প্রত্যর্পণের ক্ষেত্রে ২০১১ সালের ৩০ মার্চ এনবিআর একটি আদেশ জারি করে, যাতে শুল্ক রেয়াত ও প্রত্যর্পণ অধিদপ্তরকে (ডেডো) রিফান্ড দেওয়ার আগে অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেম থেকে রপ্তানি পণ্য চালানের কায়িক পরীক্ষার তথ্য যাচাই-বাছাই করতে বলা হয়। মূলত রিফান্ড জালিয়াতি রোধে এই আদেশ জারি করা হয়েছিল। কিন্তু এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে বেশ জটিলতা দেখা দেয়।
কাস্টম হাউস অনেক সময় অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমের ইনফরমেশন বক্সে কায়িক পরীক্ষার তথ্য এন্ট্রি দেয় না। আবার সব কাস্টম হাউস ও স্থলবন্দরে রপ্তানির অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেম পুরোপুরিভাবে কার্যকরও হয়নি। এসব কারণে রপ্তানিকারকদের রিফান্ড পেতে জটিলতায় পড়তে হয়। রপ্তানির সপক্ষে সব কাগজপত্র দাখিল করেও শুধু কায়িক পরীক্ষার তথ্য এন্ট্রি না দেওয়ায় তাঁরা রিফান্ড পেতেন না।
এ বিষয়ে এনবিআরের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, এনবিআর সব সময় রপ্তানিকে উৎসাহিত করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় রিফান্ড-প্রক্রিয়া সহজ করা হয়েছে। গত বছরও একটি আদেশ জারির মাধ্যমে এ সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। সে আদেশের মেয়াদ শেষ হওয়ায় নতুন করে আদেশ জারি করা হয়েছে। সম্প্রতি জারি করা ওই বিশেষ আদেশে জটিলতার কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, সব ধরনের রপ্তানি চালানের (বিল অব এক্সপোর্ট) বিপরীতে অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমের নির্ধারিত ইনফরমেশন বক্সের ইন্সপেকশন অ্যাক্টে কায়িক পরীক্ষার তথ্য অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি পুরোপুরি চালু হয়নি। এ ছাড়া সব কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশনে রপ্তানির ক্ষেত্রে অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেম এখনো পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়িত হয়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতে রিফান্ড জটিলতা দূর করতে অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেম থেকে কায়িক পরীক্ষার তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের বাধ্যবাধকতা শিথিল করা হয়েছে।
এখন কায়িক পরীক্ষার তথ্য যাচাই-বাছাই ছাড়াই পিআরসি, ইএক্সপি ও বৈদেশিক মুদ্রা প্রত্যাবাসনের দলিলাদিসহ অন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়ে রিফান্ড পাওয়া যাবে। ২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত এ সুবিধা বহাল থাকবে। বাসস |