[ শিল্প বাণিজ্য ] 2019-01-19 |
|
|
|
|
মাথাপিছু ঋণ এখন ১৭ হাজার টাকা
|
|
|
বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু বিদেশি ঋণের পরিমাণ এখন ১৭ হাজার টাকা। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ বৃহস্পতিবার এই তথ্য দিয়ে জানিয়েছে, ঋণের এই পরিমাণ নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সাংবাদিকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় এক প্রতিবেদনে রাষ্ট্রীয় ঋণের চিত্র তুলে ধরেন ইআরডির যুগ্ম সচিব মোহা. রুহুল আমিন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত অর্থবছরের শেষ নাগাদ দেশে বিদেশি ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৩৫২ কোটি ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় ২ লাখ ৮১ হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের এই দেশে মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ ২০৪ মার্কিন ডলার। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ১৭ হাজার ১৩৬ টাকা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সংস্থাগুলোর কাছ থেকে বাংলাদেশের নেয়া এই ঋণের বাড়তি গড় সুদ হার ১ দশমিক ২৩ শতাংশ। গড়ে ৮ বছরের রেয়াতকালসহ ঋণ পরিশোধের গড় মেয়াদ প্রায় ৩১ বছর। প্রতিবেদনে বলা হয়, অর্থনৈতিক সক্ষমতার বিচারে বাংলাদেশের বর্তমানে যে বিদেশি ঋণের স্থিতি রয়েছে বা মাথাপিছু বিদেশি ঋত রয়েছে, তা কোনভাবেই উদ্বিগ্ন হওয়ার পর্যায়ে যায়নি। বাংলাদেশের মোট দেশজ আয়ের (জিডিপি) তুলনায় এ বিদেশি ঋণ ২০১৮ সালের হিসাব অনুযায়ী ১৪ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০১৭ সালে ছিল ১২ দশমিক ৮ শতাংশ। রুহুল আমিন বলেন, জিডিপির ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বিদেশি ঋণকে উদ্বেগজনক বলা হয় না। এর বেশি হলে তখন উদ্বেগজনক বলে ধরা হয়। বর্তমানে আমাদের বিদেশি ঋণের যে স্থিতি রয়েছে, তা ২০৫৭ সালেই পরিশোধ হয়ে যাবে। এ সময়ের মধ্যে নতুন ঋণ না নিলে বর্তমান স্থিতির জন্য দাতাদের কাছে ২০২৭ এক অর্থবছরে সর্বোচ্চ ১৬০ কোটি ডলারের মতো পরিশোধ করতে হবে। এরপর থেকে ক্রমান্বয়ে কমে আসবে। অর্থাৎ এই বিদেশি ঋণ ফেরত দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। |