[ আন্তর্জাতিক ব্যবসা ] 2019-03-26
 
বাণিজ্য নীতি সংস্কারে চীনের ওপর চাপ অব্যাহত রাখার দাবি
 
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ বাণিজ্য এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে শুল্ককে হাতিয়ার হিসেবে গ্রহণ করেছেন। ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়েছেন বিভিন্ন কোম্পানির নির্বাহী থেকে শুরু করে সরকারি কর্মকর্তা, কংগ্রেসের উভয় দলের সদস্যরা। চীনের বাজার বিকৃত করা বাণিজ্য ও ভর্তুকি চর্চা বন্ধে বেইজিংয়ের ওপর চাপ সৃষ্টির বিষয়ে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিস্তর সমর্থক রয়েছে। যারা ট্রাম্পের প্রায় প্রতিটি পদক্ষেপের বিরোধিতা করে এসেছেন, তারাও এ সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছেন। খবর রয়টার্স।

বাণিজ্যযুদ্ধের ইতি টানতে আলোচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন।  আলোচনা শুরুর আগে রাজনীতিবিদ, নির্বাহী ও বিদেশী কূটনীতিবিদরা ট্রাম্প ও তার দলের কাছে আর্জি জানান, দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যকার সমস্যাগুলো সমাধানে চীনকে অর্থবহ কাঠামোগত সংস্কারে বাধ্য করতে শক্তিশালী চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখতে হবে। চীনের অন্যায্য চর্চার কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য বিদেশী কোম্পানি ও শ্রমিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

লিয়ার করপোরেশনের ইনডাইরেক্ট ট্যাক্স ও কাস্টমসের ভাইস প্রেসিডেন্ট স্টিভেন গর্ডন বলেন, ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে যে, এ পদক্ষেপ চীনকে বাধ্য করবে সেসব নীতিতে পরিবর্তন আনতে, যেগুলো ব্যবসায়ী ও বিদেশী সরকাররা মনে করে অন্যায্য। গর্ডন বলেন, এখন সবগুলো ইস্যু উত্থাপিত হয়েছে ও অনেক বেশি স্থানীয় রাজনৈতিক সমর্থন মিলছে। দীর্ঘমেয়াদের এ ইস্যুগুলোর সমাধানে রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি হয়েছে।

ট্রাম্পের বাণিজ্যি প্রতিনিধি দল জানিয়েছে, তারা মধ্যস্থতার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। আলোচনা ফলপ্রসূ হলে এটি হবে কয়েক দশকের মধ্যে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যি নীতি বিষয়ক চুক্তি। আলোচনা জোরদারে চলতি সপ্তাহে বেইজিং যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি রবার্ট লাইটহাইজার ও অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মানিউচিন। অন্যদিকে চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী লিয়ু হির এপ্রিলের প্রথম দিকে ওয়াশিংটন সফরে আসার কথা রয়েছে। তবে চুক্তি হবে কিনা তা এখনো নিশ্চিত নয়। আট মাসের বাণিজ্যযুদ্ধে বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে কোটি কোটি ডলারের পণ্যপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়েছে।

চীনের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যনীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক মনোভাবের বড় পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে। চীনের আমেরিকান চেম্বার অব কমার্সের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর বেশির ভাগই চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধি বা অবস্থান ধরে রাখার পক্ষে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির জন্য যুক্তরাষ্ট্র যেন বেইজিংকে চাপ দেয় সে প্রত্যাশা আরো বেড়েছে। চীনের অনেক সংস্কারপন্থী ও বেসরকারি খাতের নির্বাহীরাও চীনে দ্রুত সংস্কার আনার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
Print Close  
Print Close  
News Source
            Top
            Top
 
Home / About Us / Benifits /Invite a Friend / Policy
Copyright © Hawker 2009-2010, Allright Reserved