আগামী অর্থবছরের বাজেটে দেশে গাড়ি ও মোটরসাইকেল উৎপাদনে উৎসাহ দেওয়া হবে। পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা আনতে নিবন্ধন ফি কমানোর বিষয়টিও বিবেচনা করা হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলনকক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনাকালে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এসব কথা বলেন। গতকাল বাজেট আলোচনাকালে মোটরসাইকেল ম্যানুফ্যাকচার অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পণ্য পরিবহন এজেন্সি মালিক সমিতি, বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল সংস্থা, বাংলাদেশ মোটর পার্টস ও টায়ার টিউব ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিরা অংশ নেন। এ সময় এনবিআর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন বলেন, ১০-১২ বছর আগে থেকে মোটরসাইকেল সেক্টরের যাত্রা শুরু হয়েছে। সরকার বিভিন্ন নীতি সহায়তা দিয়ে এ খাতে যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে। এখন রানার মোটরসাইকেল তৈরি করছে। হিরো, হোন্ডা এবং বাজাজ নিজেরা তৈরি করা শুরু করছে। ফলে আমাদের দেশে তৈরি মোটরসাইকেল দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করতে পারবে। তাতে মোটরসাইকেলের বাজার বাড়বে। বিদেশে বাজার তৈরিতে আমরা উৎসাহ দেব।
মোটরসাইকেলের পাশাপাশি দেশে গাড়ি তৈরিতে উৎসাহী করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মোটরসাইকেলে যেভাবে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। গাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে একটি নীতিমালা করছি। যারা গাড়ি তৈরিতে এগিয়ে আসবে, তারা এ সুযোগটা পাবে।
মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল ফোন, মোটরসাইকেল, ফ্রিজ দেশেই তৈরি হচ্ছে। একইভাবে গাড়িও তৈরি হবে। মেইড ইন বাংলাদেশ নামে শুরু হবে। ওয়ার্কশপগুলো টিকে থাকা দরকার।
এভিয়েশন খাতের দাবির প্রেক্ষিতে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এভিয়েশন খাতের ফুয়েল (জ্বালানি) নিয়ে বেশি সমস্যায় আছে। আমরা তাদের কোনো না কোনো জায়গায় যদি সহায়তা না করি তাহলে এটা টিকবে না। তাদের অনেকে মূসক পরিশোধ করতে পারছে না। অসম প্রতিযোগিতার কারণে অনেকেই টিকে থাকতে পারছে না। ট্রেন-বাসের চেয়ে বিমানে একটু ভাড়া তো বেশি লাগবেই।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, জাহাজ নির্মাণে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এ খাতেও অনেক প্রণোদনা দিয়েছি। কিন্তু কথা হচ্ছে ঠিকানাবিহীন কিছু প্রতিষ্ঠান জাহাজ তৈরি করে বিক্রি করছে। আমারা তাতে রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছি।