তৈরি পোশাক খাতের মৌলিক পণ্যের পাশাপাশি বিশ্ববাজার প্রযুক্তিনির্ভর পোশাকের (স্মার্ট টেক্সটাইল) চাহিদা বাড়ছে। আগামী ২০২৫ সালে এই ধরনের স্মার্ট টেক্সটাইলের বাজার ১২ হাজার ৫০০ কোটি ডলার হবে। একেবারে আনকোড়া এই বাজার ধরতে এখনই বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের কাজ করতে হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘দ্বিতীয় বাংলাদেশ ফ্যাশনোলজি সামিট’ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের (বিএই) প্রধান কর্মকর্তা মোস্তাফিজ উদ্দিন। আগামী ২ মে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) এই ফ্যাশনোলজি সামিট অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ছিলেন তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফারুক হাসান, পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের এমডি আলমগীর মোর্শেদ, ফকির অ্যাপারেলসের নির্বাহী পরিচালক দেবাশীষ কুমার সাহা প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেন, এই প্রদর্শনীতে এবার সবচেয়ে বেশি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে আয়োজন করা হচ্ছে। ৫টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিশ্বের ১৫ দেশ থেকে ৯০ জন বক্তা অংশগ্রহণ করবেন।
ব্র্যান্ডিং নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ফারুক হাসান বলেন, পোশাক খাতের বিশ্ববাজারে ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি করতে কান্ট্রি ব্র্যান্ডিংয়ের উদ্যোগ নিতে হবে। এ জন্য সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে। তবে বিজিএমইএ এতে সহযোগী ভূমিকা রাখতে পারে।
তিনি বলেন, অনেক বাধার পরও বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে। পোশাক রপ্তানিতে চীনের পর বিশ্ববাজারে দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার হিসেবে অবস্থান করছে। নতুন বাজার সম্প্রসারিত হয়েছে। ২০০৯ সালে এই বাজার ছিল পোশাক খাতের মোট রপ্তানির ৬.৯ শতাংশ। বর্তমানে এ বাজার ১৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ফারুক হাসান বলেন, সময় নিয়ে আমাদের ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য কাজ করতে হবে।