[ প্রথম পাতা ] 2019-04-19
 
এলএনজি আমদানিতে পেট্রোবাংলাকে এক হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি
 
এলএনজি আমদানির কারণে ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় রাষ্ট্রায়াত্ত প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলাকে ১ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে সরকার। গত বছরের আগস্টে এলএনজি আমদানি শুরুর পর এবারই প্রথমবারের মত ভর্তুকি পেল সংস্থাটি।

পেট্রোবাংলা সূত্র জানায়, গত বছরের অক্টোবরে অর্থ মন্ত্রণালয়ে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের জন্য ৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ভর্তুকি চেয়ে চিঠি দিয়েছিল বাংলাদেশ তৈল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা)। কিন্তু চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত এ বাবদ কোনো অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।

এ প্রসঙ্গে পেট্রোবাংলার পরিচালক অর্থ হারুন-অর-রশিদ বলেন, গত মার্চ পর্যন্ত ৩ হাজার কোটি টাকা আর্থিক ঘাটতিতে ছিল সংস্থাটি। চলতি এপ্রিলের যে টাকা পাওয়া গেছে তা বর্তমান ঘাটতিরই এক তৃতীয়াংশ মেটাতে পারবে। সামনে এলএনজি আমদানি আরো বাড়বে। গ্যাসের দাম বাড়িয়ে ও ভর্তুতির মাধ্যমে তা সমন্বয় করতে হবে।

গ্যাস উত্পাদনকারী কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে প্রতি ঘনমিটার গ্যাস গড়ে সাড়ে ৬ টাকায় কিনে পেট্রোবাংলা। অন্যদিকে প্রতি ঘনমিটার এলএনজির দাম প্রায় ৩৮ টাকা। দেশীয় গ্যাসের সাথে এলএনজি মিশিয়ে বিক্রির কারণে গ্যাসের গড় দামও বেড়ে গেছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, এলএনজির কারণে পেট্রোবাংলার আমদানি খরচ বেড়ে গেছে। এটি সত্য। কিন্তু কতটুকু বেড়েছে এবং কতটুকু ভর্তুকি দেওয়া দরকার তার জন্য অটোমেশন পদ্ধতি চালু করা দরকার। এজন্য পেট্রোবাংলাকে অটোমেটেড সফটওয়্যার এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্ল্যানিংয়ের (ইআরপি) মাধ্যমে লেনদেন করার আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে পেট্রোবাংলা বলছে, এ সফটওয়্যারের ব্যবহার শুরু করতে আরো সময় লাগবে।

কক্সবাজারের মহেশখালীতে দেশের প্রথম এবং এখন পর্যন্ত একমাত্র ভাসমান এলএনজি টার্মিনালে বর্তমানে দৈনিক প্রায় ৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাস এলএনজি থেকে রূপান্তরিত হয়ে জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের এক্সিলারেট এনার্জি এ টার্মিনাল পরিচালনা করছে। এলএনজি আমদানি হচ্ছে কাতারের রাসগ্যাস এবং ওমানের ওমান ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনালের কাছ থেকে। চলতি বছরই সামিট গ্রুপের এলএনজি টার্মিনাল চালু হবে। এটি থেকেও দৈনিক ৫০ কোটি ঘনফুট রূপান্তরিত গ্যাস সরবরাহ করা যাবে। তখন আর্থিক ঘাটতি এবং ভর্তুকির চাহিদা আরো বাড়বে বলে মনে করছে পেট্রোবাংলা।

এদিকে ঘাটতি মেটাতে গ্যাসের দাম বাড়ানোর আবেদন করেছে পেট্রোবাংলা ও এর আওতাধীন কোম্পানিগুলো। এ লক্ষ্যে আয়োজিত গণশুনানি গত ১৪ মে শেষ হয়েছে। শুনানি শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে দাম সমন্বয়ের ব্যাপারে নির্দেশনা দিবে এ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
Print Close  
Print Close  
News Source
            Top
            Top
 
Home / About Us / Benifits /Invite a Friend / Policy
Copyright © Hawker 2009-2010, Allright Reserved