[ পাতা ৫ ] 2019-05-27
 
সব দিক সামাল দিতে হবে
নীতি দুর্নীতি অর্থনীতি
 
ড. আর এম দেবনাথ:

আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। ২০১৯-২০ অর্থবছরের নতুন বাজেট আসছে, পবিত্র ঈদের ছুটির পরপরই। কেমন হবে বাজেট? অর্থমন্ত্রী নতুন, কিন্তু হিসাবশাস্ত্রের মানুষ। গত মাস দুইয়ের মধ্যে তিনি অর্থনীতি, ব্যাংকিং, শেয়ারবাজার, অর্থ পাচার, বিনিয়োগ, জিডিপি প্রবৃদ্ধি থেকে শুরু করে অর্থনৈতিকভাবে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সব বিষয়ের ওপর তার মতামত তুলে ধরেছেন। ধরে নেয়া যায়, এসবের প্রতিফলন নতুন বাজেটে পড়বে। কিন্তু তার আগেই দুই বড় ইস্যু। প্রথম ঋণের মূল্য, দ্বিতীয় বর্তমান অর্থবছরের বিশাল রাজস্ব ঘাটতি।
ফাইল ছবি
আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। ২০১৯-২০ অর্থবছরের নতুন বাজেট আসছে, পবিত্র ঈদের ছুটির পরপরই। কেমন হবে বাজেট? অর্থমন্ত্রী নতুন, কিন্তু হিসাবশাস্ত্রের মানুষ। গত মাস দুইয়ের মধ্যে তিনি অর্থনীতি, ব্যাংকিং, শেয়ারবাজার, অর্থ পাচার, বিনিয়োগ, জিডিপি প্রবৃদ্ধি থেকে শুরু করে অর্থনৈতিকভাবে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সব বিষয়ের ওপর তার মতামত তুলে ধরেছেন। ধরে নেয়া যায়, এসবের প্রতিফলন নতুন বাজেটে পড়বে। কিন্তু তার আগেই দুই বড় ইস্যু। প্রথম ঋণের মূল্য, দ্বিতীয় বর্তমান অর্থবছরের বিশাল রাজস্ব ঘাটতি।

বাজেট হল, কৃষক ধানের দাম পেল না- এটা তো মেনে নেয়া যায় না। এক মণ ধানের টাকায় এক কেজি গরুর মাংস পাওয়া যায় না, একজন শ্রমিকের দৈনিক মজুরিও হয় না। এত বড় বিপদে কৃষক ইদানীংকালে পড়েনি। রাগে-দুঃখে ধান পোড়ানোর ছবি সব কাগজে ছাপা হয়েছে। কেন এমন হল? বিবিএসের খাদ্য উৎপাদন তথ্য এবং মাথাপিছু খাদ্যভোগের তথ্য মিলালে আমাদের প্রচুর উদ্বৃত্ত। অর্থমন্ত্রীর কাছে আমাদের এখন প্রত্যাশা ধানের ন্যায্যমূল্যের নিশ্চয়তা। এটা বহুদিনের বকেয়া সমস্যা।

আশা করি বাজেটে কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্যের বিষয়টি বিবেচিত হবে। পরের ইস্যু রাজস্ব। রাজস্ব ছাড়া বাজেট হবে না। গত কয়েক বছরে রাজস্ব বেড়েছে অনেক। শেষ মুহূর্তে এসে দেখা যাচ্ছে রাজস্ব আহরণের বিষয়টি বড় হুমকির সম্মুখীন। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে শেষ পর্যন্ত রাজস্ব ঘাটতি টার্গেটের তুলনায় কোথায় এসে দাঁড়াবে? খরচ তো বসে নেই।

তাহলে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জের কীভাবে অর্থমন্ত্রী ২০১৯-২০ অর্থবছরে সামলাবেন? ব্যবসায়ীদের দাবি পূরণ করতে গিয়ে বিগত ৩-৪ বছরে সরকার এক লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব খুইয়েছে। এভাবে রাজস্বে আরও রেয়াত দিয়ে ২০১৯-২০ সালে কীভাবে অর্থমন্ত্রী তার বাজেট তৈরি করবেন? তিনি বলছেন, আগামী অর্থবছরে করের হার বাড়বে না, বরং কমবে। পুরনো করদাতাদের তিনি কষ্ট দেবেন না।

তার মতে দেশে ৪ কোটি লোক কর দিতে পারে। কিন্তু কর দেয় মাত্র ২০-৩০ লাখ লোক। অতএব আগামী বছরের টার্গেট এক কোটি নতুন করদাতা। তাদের কাছ থেকেই কর আসবে। ভ্যাট আইন লুপ্ত হবে। সেখানে প্রচলন হবে নতুন ভ্যাট হার। প্রত্যাশা ‘ভ্যাট’ হিসাবে ভালো রাজস্ব পাওয়া যাবে। এসব কথাই বাহুল্য, আশার কথা। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে সাবেক অর্থমন্ত্রীও নতুন করদাতাদের ধরার কথা বলছিলেন। তিনি পারেননি। শেষ পর্যন্ত তিনি ‘চড়াও’ হয়েছেন পুরনোদের ওপর। তিনি ‘ওয়েলথ ট্যাক্সের’ নামে কার্যত সারচার্জ চালু করেছেন ১০-১৫ শতাংশ হারে।

এটা ভীষণ একটা অবিচার ছাড়া কিছুই নয়। নতুন কর আদায় করতে হলে গ্রামেও যেতে হবে। অর্থমন্ত্রী বলেছেন উপজেলা পর্যন্ত ট্যাক্স অফিস হবে। এখানে লক্ষ রাখতে হবে বর্তমানে চালু নানা ট্যাক্স অফিসের অনিয়ম যাতে এক্ষেত্রেও মাথাচাড়া না দিয়ে ওঠে। ‘নায়েবের’ মতো আবার নতুন একটা শ্রেণীর জন্ম হয়! এখানে একটা ধারণার কথা আলোচনা করতে হয়। খুব কম লোকে ট্যাক্স দেয়। আবার দেখা যায় রাজস্ব বিভাগ লাখ লাখ লোকের কাছ থেকে ৬০-৭০টি উৎসে অগ্রিম আয়কর কেটে নেয়। তাহলে আয়করদাতা কম হল কীভাবে? তবে কথা আছে- এখন এটা ধনী-গরিব সবাই একই হারে দেয়।

সরকার ধনীদের কাছ থেকে ট্যাক্স আদায়ে ব্রতী হলে ভালো করবে। এই মুহূর্তে দেশে ১২-১৩ হাজার ধনী লোক। এদের বিরাট সংখ্যকই ছাপোষা লোক। প্রকৃত ধনীর নাম এখানে নেই। অতএব প্রত্যাশা অর্থমন্ত্রী ধনীদের কাছ থেকে আয়কর আদায়ের ব্যবস্থা করবেন। ভ্যাট ফাঁকি বন্ধ করবেন। ‘বন্ডেড ওয়্যারহাউসের’ পণ্য খোলাবাজারে বিক্রি বন্ধ করবেন। পণ্য আমদানি-রফতানিতে যে শুল্ক ফাঁকি হয়, তা বন্ধ করবেন। আমার ধারণা এতেই প্রচুর রাজস্ব পাওয়া যাবে। দেখতে হবে ধনীরা বেশি বেশি কর দিচ্ছে কীনা, কারণ এর উপর নির্ভর করে বৈষম্য নিরসনের কাজ। এটা ‘বিশ্ব ইকোনমিক ফোরামের’ আলোচিত বিষয়- বিশ্বের ধনীদের জন্য। তাই আমাদের বেলাতেও প্রযোজ্য। ব্যক্তিগত করের ক্ষেত্রে কয়েকটি পদক্ষেপ দরকার।

‘ইউনিভার্সেল সেলফ অ্যাসেসমেন্ট’ নীতিটি কার্যত পরিত্যক্ত হয়েছে। তা পুনবর্হাল করে অডিট প্রথা বন্ধ করে করদাতাদের আস্থা ফিরিয়ে আনা দরকার। করমুক্ত আয়ের ঊর্ধ্বসীমা কমপক্ষে দেড়গুণ করা দরকার। গত কয়েক বছরে তাতে হাত দেয়া হয়নি। রেয়াত হিসাবায়ন, বিনিয়োগ ইত্যাদি ক্ষেত্রে আরও উদার হওয়া দরকার। উৎসে ১০-১৫ শতাংশ আয়কর কর্তনের ফলে হাজার হাজার করদাতা সারাবছরে কর দিয়ে ফেলছেন অনেক বেশি। এসবের জন্য ‘রিফান্ড’ চাইতে হয় প্রত্যেক বছর। এটাই একটা বিড়ম্বনা। এর থেকে করদাতাদের রেহাই দেয়া দরকার।

উৎসে আয়কর কাটার হার ৫ শতাংশে নামিয়ে আনলে আমার মনে হয় অনেক সমস্যার সমাধান হয়। আয়কর ফরমকে (রিটার্ন) সহজ করার কথা বলা হয়। অথচ এটি প্রতি বছর জটিল করা হচ্ছে। এর প্রতিকার করতে পারলে করদাতারা নিজেরাই তা পূরণ করতে পারবেন। উকিলের কাছে গিয়ে অর্থদণ্ড দিতে হবে না। এসব ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী বিশেষভাবে অবগত আছেন। ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে এসবের প্রতিকার থাকলে তিনি প্রশংসিত হবেন।

সবচেয়ে বড় কথা আছে বাজেটের আকার নিয়ে। এর মধ্যেই দেখলাম মিডিয়া রিপোর্ট করেছে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন বাজেট (এডিপি) আসছে। আমার মতে এ ধরনের খবরের কোনো অর্থ হয় না। বাজেটের আকার প্রতিবছরই বাড়ে, প্রতিবছরই হয় ইতিহাস। অতএব কথা এখানে নয়। কথা অঙ্কের হিসাবে নয়, কথা খরচের গুণগতমান নিয়ে। খরচের দক্ষতা নিয়ে। যে কেউ বলবে এখন এক টাকার কাজ দুই টাকায় হয়। স্কুল নেই, শিক্ষক নেই- অথচ স্কুলটি এমপিওভুক্ত।

সরকারি ভর্তুকির টাকার অপচয় হয়। সামাজিক সুরক্ষার টাকার ৫০ শতাংশও যোগ্য লোকের কাছে যায় না। তেল ক্রয়, চাল ক্রয় ইত্যাদি সব ক্ষেত্রেই কমপক্ষে ২০-৫০ শতাংশ খরচ বেশি। হাসপাতালের রোগীদের খাবার নেই, অথচ বাজেট আছে। কয়েদিদের খাবার কিনে খেতে হয়, অথচ বাজেট আছে। ছয় মাস পরেই মেরামত করা রাস্তায় ‘চলটা’ পড়ে যায়। স্কুলঘর চার-পাঁচ বছর পরপর বানাতে হয়। তালিকা বাড়িয়ে লাভ নেই। সরকারি খরচের গুণগত মান বৃদ্ধি করতে পারলে বর্তমান বাজেটের টাকা দিয়েই দেড়গুণ দ্বিগুণ কাজ করা যায়। এ ব্যাপারে অতীতে কিছুই করা হয়নি। নতুন অর্থমন্ত্রী যদি এক্ষেত্রে সামান্যতম সফলও হন তাহলে দেশের উপকার হবে। বড় বড় প্রকল্পের টাকার জন্য তাকে মাথা ঘামাতে হবে না।

এরপরের কথা অগ্রাধিকার নিয়ে। আমাদের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার উন্নতি দরকার। আমাদের বাচ্চাদের পুষ্টি দরকার, রাস্তাঘাট দরকার, বিদ্যুৎ দরকার, গরিবের চিকিৎসা দরকার। এমনিভাবে হিসাব করলে দেখা যাবে করণীয় কাজ বেশি, টাকা কম। তাহলেই অগ্রাধিকারের প্রশ্নটি আসে। বিগত দিনে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ কমছে। টাকার হিসাবে নয়, মোট বাজেটের শতাংশের হিসাবে। এর প্রতিকার দরকার। তা না হলে বৈষম্য বাড়বে, টেকসই উন্নয়ন ব্যাহত হবে। রাস্তাঘাট আমাদের যথেষ্ট হয়েছে। এখন দরকার শুধু মেরামত। কিন্তু বড় প্রকল্পে নজর দিতে গিয়ে শহর-গ্রামের রাস্তার নিয়মিত দেখাশোনাও নেই। এটা কাম্য নয়।

শিক্ষার গুণগতমান প্রশ্নের মুখে। এমএ পাস ছেলেমেয়েরাও দশটি বাংলা অথবা ইংরেজি বাক্য শুদ্ধভাবে লিখতে পারে না। বাড়ছে বোঝা- জানি। অনেক কাজের চেয়ে এই অবস্থার প্রতিকার দরকার আগে। বড় বড় প্রকল্প নিশ্চয়ই দরকার। কিন্তু প্রশ্নটি অগ্রাধিকারের। টাকা থাকলে একথা বলতাম না। অতএব ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে এ অবস্থার পরিসমাপ্তি চাই।

সমান গুরুত্বের বিষয় হচ্ছে বিনিয়োগ- বেসরকারি বিনিয়োগ। সরকার দেখা যাচ্ছে ঝুঁকে আছে সরকারি বিনিয়োগের দিকে। এ অবস্থার পরিবর্তন দরকার। বেসরকারি বিনিয়োগ স্থবির হয়ে আছে। অভিযোগ আছে যে, বিরাট সংখ্যক ব্যবসায়ী টাকা দেশে বিনিয়োগ না করে বাইরে পাচার করছে। অনেকেই নিয়ম মেনে বিদেশে বিনিয়োগ করছে। অথচ তারা দেশে বিনিয়োগ করছে না। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, তিনি বলে-কয়ে এসব টাকা দেশে ফেরত আনবেন। তিনি কীভাবে তা করবেন এ ব্যাপারে নতুন বাজেটে ‘রোডম্যাপ’ দরকার।

অনেক ঋণখেলাপি, এমনকি ভালো ব্যাংকঋণ গ্রহীতাও ব্যাংকের টাকা নিয়ে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, দুবাই, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা- এসব দেশে পাড়ি দিয়েছেন। এ ধরনের খবর চট্টগ্রামের ঘরে ঘরে। আমার মনে হয় এক্ষেত্রে ‘সিরিয়াস’ হওয়া দরকার। অনেক ক্ষেত্রে শিল্পে ‘ওভার ক্যাপাসিটি’ তৈরি হয়ে গেছে। ‘বিজিএমইএ’র সভাপতি ড. রুবানা হক বলেছেন পোশাক শিল্প ‘ওভার ক্যাপাসিটির’ শিকার। চিনি, ইস্পাত, বস্ত্র, সিমেন্ট ইত্যাদি খাতে ‘ওভার ক্যাপাসিটি’ বিরাজমান। এর দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যাংকগুলো।

তাদের খেলাপি ঋণ বাড়ছে। না, এটা বলা আর এখন সম্ভব হবে না। বাংলাদেশ ব্যাংক খেলাপিদের যে সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে তাতে এ সমস্যা থাকার কথা নয়। কিন্তু কথা আছে। মাননীয় হাইকোর্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের এই পদক্ষেপকে স্থগিত করেছেন। মাননীয় হাইকোর্ট এ বিষয়ে বেশ সজাগ দৃষ্টি রাখছেন। দেশবাসীও বিষয়টি নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। তাহলে করণীয়? অর্থমন্ত্রীকে এই বিষয়টি সম্পর্কে বাজেটে খোলাখুলিভাবে বলতে হবে। এখানে আমানতকারীদের স্বার্থ আছে, দেশের স্বার্থ আছে। সঞ্চয় ও বিনিয়োগের বিষয় আছে।

এর সঙ্গে শেয়ারবাজারের সম্পর্ক আছে। আমানত নেই, ঋণ হবে সস্তায়! প্রতিযোগিতার বিষয় হবে বিসর্জিত। আমাদের ভাবতে হবে। সব কূল রক্ষা করাই অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব। তিনি একদিকে হেলে গেলে সমূহ বিপদ। বাজেটকে ব্যবসাবান্ধব করতে গিয়ে যদি একে আমানতবিরোধী, সঞ্চয়-বিনিয়োগ বিরোধী করে ফেলা হয় তাহলে বিপদ। বাজেটে থাকতে হবে বৈষম্য-বঞ্চনার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ। থাকতে হবে কর্মসংস্থানের কথা, শিক্ষিত যুবকদের চাকরির কথা। বাজেটে বলতে হবে দারিদ্র্য নিরসনের কথা।

বলা হয় ২২ শতাংশ লোক দারিদ্র্যসীমার নিচে এই মুহূর্তে। কথাটা সর্বাংশে ঠিক নয়। এটা আগের হিসাব। আমরা এখন ‘উন্নয়নশীল দেশ’। ‘দারিদ্র্য’-এর হিসাব হবে নতুন সংজ্ঞায়। ওই সংজ্ঞায় দারিদ্র্যসীমার নিচে হবে আরও অনেক বেশি লোক। ছেড়ে দিলাম এ হিসাব। কিন্তু গড়ের হিসাব বাদ দিলে দেখা যায় রংপুর প্রশাসনিক বিভাগে ৫০-৬০-৭০ শতাংশ লোক দারিদ্র্যসীমার নিচে। বর্তমান হিসাবেই চার-পাঁচ কোটি লোক দারিদ্র্যসীমার নিচে। এদের নিচ থেকে ‘উপরে’ তুলতে হবে। অথচ দারিদ্র্য হ্রাসের হার দিন দিন কমছে। বৈষম্য ক্রমাগতভাবেই বাড়ছে। এর প্রতিকার কী? কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা কী? ‘জবলেসের’ প্রতিরোধ কী? একটি আসবাবপত্রের কোম্পানি পর্যন্ত ‘রোবটে’ গেছে।

অতএব বিকল্প কী? অর্থমন্ত্রীর কাছ থেকে এসব ক্ষেত্রে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে বক্তব্য চাই। নির্মল বায়ু, বিষমুক্ত খাবার, মাদক থেকে মুক্তি, নদীগুলোর পুনর্জীবন ইত্যাদির ব্যবস্থা চাই। ব্রিজ হল, নদী নেই- এর তো কোনো অর্থ থাকবে না। চাওয়ার তালিকা বড় করে ফেললাম। এটা হয়েছে তার কারণ আছে। উন্নয়নের যে কার্পেট আমরা বিছিয়েছি তার তলায় অনেক ধুলা জমা হয়েছে। উন্নয়নের পাশাপাশি ওই ধুলা-আবর্জনাও দূর করা দরকার। কারণ আমরা টেকসই উন্নয়ন চাই।
Print Close  
Print Close  
News Source
            Top
            Top
 
Home / About Us / Benifits /Invite a Friend / Policy
Copyright © Hawker 2009-2010, Allright Reserved