[ পাতা ১২ ] 2019-05-27
 
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তিতে জোর দিচ্ছে বাংলাদেশ
 
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে জোর দিচ্ছে বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে এখন বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চুক্তি করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, সম্প্রতি চেক রিপাবলিকের সঙ্গে একটি চুক্তি করা হয়েছে। শিগগিরই মস্কোর সঙ্গে চুক্তি সই করা হবে। 

বাণিজ্য ও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা বিষয়ে এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। গতকাল রোববার রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানে ইআরএফ সভাপতি সাইফুল ইসলাম দিলাল সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও শাখার মহাপরিচালক মো. মুনির চৌধুরী ও ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম। কর্মশালার প্রথম দিনে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার আলোচিত ইস্যু কৃষিতে ভর্তুকি নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থানের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও শাখার পরিচালক হাফিজুর রহমান। ইআরএফ এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে তিন দিনের এ কর্মশালার আয়োজন করেছে। 

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব বাণিজ্যে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। বাণিজ্য বাড়াতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশ অনেকদূর এগিয়ে গেছে। এ কারণে সম্প্রতি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার এক বৈঠকে বিশ্বের নানা দেশ স্বল্পোন্নত দেশের মধ্যে বাংলাদেশকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। 

টিপু মুনশি বলেন, সম্প্রতি চেক রিপাবলিক বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছে। দেশটির মাথাপিছু আয় ৩০ হাজার ডলারের বেশি। সে দেশের উদ্যোক্তারা সরাসরি বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছেন। বিশেষ করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি, যন্ত্রপাতিসহ বিভিন্ন খাতে আগ্রহ রয়েছে দেশটির। তিনি বলেন, চেক রিপাবলিকের সঙ্গে যৌথ বাণিজ্য কমিশন গঠন করা হবে, যাতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায়। এ ছাড়া আগামী সপ্তাহে তার কাজাখস্তান ও মস্কো সফর করার কথা রয়েছে। মস্কোর সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে চুক্তি করার পরিকল্পনা রয়েছে। 

মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অনেক দেশের সঙ্গেই বাণিজ্য বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে রাশিয়ার বাজারে রফতানি বাড়ানোর সুযোগ আছে। বেলারুশেও বড় বাজার রয়েছে। এসব বাজার ধরতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। 

মুনির চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ একদিকে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পথে রয়েছে। আবার এ সময়ে বাংলাদেশকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি অর্জন করতে হবে। এ কারণে বাংলাদেশের সামনে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। 

তিনি বলেন, এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এগিয়ে যেতে বেসরকারি খাতের সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। এ জন্য মন্ত্রণালয় বেসরকারি খাতের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে।
Print Close  
Print Close  
News Source
            Top
            Top
 
Home / About Us / Benifits /Invite a Friend / Policy
Copyright © Hawker 2009-2010, Allright Reserved