[ শিল্প বাণিজ্য ] 2019-05-27
 
অর্থনৈতিক শক্তিগুলো বাংলাদেশের প্রতি গুরুত্ব বাড়াচ্ছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
 
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, যে যা-ই বলুক, অর্থনীতিতে আমরা একটা নতুন মাত্রায় পৌঁছেছি। আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো আমাদের আগের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। সম্প্রতি আমি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সম্মেলনে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়েই আমি বুঝতে পারলাম, আমাদের তারা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। আমাদের আগের অবস্থান এখন আর নেই। ৬৫টি দেশ ওই সম্মেলনে উপস্থিত ছিল। তারা আমাদের বিষয়ে জানতে আগ্রহী। এলডিসি থেকে উত্তরণে আমাদের কী কী বিষয়ে কাজ হয়েছে, এসব প্রশ্ন বেশি বেশি এসেছে। এ ধরনের প্রায় ১০০টি প্রশ্ন বিভিন্ন দেশ থেকে করা হয়েছে।

গতকাল ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে ‘বাণিজ্য ও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা’বিষয়ক কর্মশালা উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। ইআরএফ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করেছে। তিন দিনব্যাপী এ কর্মশালায় ইআরএফের ৬০ সদস্য অংশ নিচ্ছেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা বুঝতে পেরেছি, বাংলাদেশের ব্যাপারে ডব্লিউটিও সদস্যদের উৎসাহ অনেক। বিশেষ করে বাংলাদেশ কীভাবে এলডিসি দেশগুলোর মধ্যে লিড করেছে। তারপর ওই কনফারেন্সে আমরা আমাদের সমস্যা নিয়েও আলোচনা করেছি। ২০২৪ সালে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হলে যে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ব, সেগুলো মোকাবেলার করণীয় নিয়ে কথা হয়েছে।

তিনি বলেন, সম্প্রতি আমি চেক রিপাবলিক ও স্লোভেনিয়া ঘুরে এসেছি। দুটি দেশের মাথাপিছু আয়ই প্রায় ৩০ হাজার ডলার। চেক রিপাবলিকের সঙ্গে আমরা একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছি। তারা বাংলাদেশে পাওয়ারসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ৩০ মে আমি মস্কো যাচ্ছি। সেখানে ইউরেশিয়ান ইকোনমিক কমিশনের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি চুক্তি স্বাক্ষর হবে। রাশিয়া, বেলারুশ, আর্মেনিয়া, কিরগিজস্তান ও কাজাখস্তান নিয়ে এ কমিশন গঠিত। এটি স্বাক্ষর হলে ইন্টারগভর্নমেন্টাল কমিশনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন সহজতর হবে এবং রাশিয়াসহ ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোয় বাংলাদেশের শুল্কমুক্ত পণ্য সরবরাহের পথ সুগম হবে। এছাড়া বাণিজ্যের পরিমাণও বাড়বে।
Print Close  
Print Close  
News Source
            Top
            Top
 
Home / About Us / Benifits /Invite a Friend / Policy
Copyright © Hawker 2009-2010, Allright Reserved