লক্ষ্য একটাই দেশটাকে এগিয়ে নিতে হবে। এ লক্ষ্যে অনেক চেষ্টা করছি। দেশের অর্থনীতি নতুন ধাপে উন্নীত হয়েছে। যে যা-ই বলুক অর্থনীতিতে আমরা একটা নতুন মাত্রায় পৌঁছেছি। গতকাল রবিবার ইআরএফের কার্যালয়ে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় তিনদিনব্যাপী ‘বাণিজ্য ও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা’ বিষয়ক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। ইআরএফের সভাপতি সাইফুল ইসলাম দিলালের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মুনির চৌধুরী। বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা বুঝতে পেরেছি বাংলাদেশের ব্যাপারে ডব্লিউটিও এর সদস্যদের উৎসাহ অনেক। বিশেষ করে বাংলাদেশ কিভাবে এলডিসি দেশগুলোর মধ্যে লিড করেছে। তার পর ওই কনফারেন্সে আমরা আমাদের সমস্যা নিয়েও আলোচনা করেছি। ২০২৪ সালে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হলে যে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বÑ সেগুলো উন্নীতকরণ নিয়ে কথা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি আমি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়েই আমি বুঝতে পারলাম যে, আমাদেরকে তারা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। আমাদের আগের অবস্থান এখন আর নেই। ৬৫টি দেশ ওই কনফারেন্সে উপস্থিত ছিল। তারা আমাদের বিষয়ে জানতে আগ্রহী। কোন কোন দেশের সঙ্গে আমরা শুল্কমুক্ত চুক্তি করব, কোন দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি করবÑ এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সম্প্রতি আমরা চেক রিপাকলিকানদের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছি। তারা বাংলাদেশে পাওয়ারসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে। তিনি আরও বলেন, আগামী ৩০ তারিখ আমি মস্কো যাচ্ছি। সেখানে ইউরেশিয়ান ইকোনমিক কমিশনের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি চুক্তি স্বাক্ষর হবে। রাশিয়া, বেলারুশ, আর্মেনিয়া, কিরগিজিস্তান ও কাজাকিস্তান নিয়ে এ কমিশন গঠিত। এটি স্বাক্ষর হলে ইন্টার গভর্নমেন্টাল কমিশনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন সহজতর হবে এবং রাশিয়াসহ ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে বাংলাদেশের শুল্কমুক্ত পণ্য সরবরাহের পথ সুগম হবে। এ ছাড়া বাণিজ্যের পরিমাণও বাড়বে।