[ পাতা-৩ ] 2020-08-11
 
চরম সংকটে খুলনার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা
দেনার ভারে বন্ধ হচ্ছে প্রতিষ্ঠান, মেলেনি সরকারি প্রণোদনা
 
সামছুজ্জামান শাহীন:

করোনার প্রভাবে খুলনার প্রায় ৫০ হাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। একদিকে দোকানে বেচাকেনা বন্ধ, অন্যদিকে কর্মচারীদের বেতন, ঘর ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল, ভ্যাট-ট্যাক্স দিতে হচ্ছে। পাশাপাশি আয়-রোজগার না থাকায় লকডাউনে বাসা ভাড়া ও ভরণ-পোষণে পুঁজি শেষ হয়ে গেছে অনেকের।  বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বাঁচাতে প্রণোদনা দিতে হবে। ঋণ সহায়তা দিতে ব্যবসায়ী সংগঠন বা প্রশাসনের মধ্যস্থতায় ব্যাংকগুলোর সঙ্গে সমন্বয় তৈরি করতে হবে। জানা যায়, করোনাকালীন গত তিন-চার মাসে খুলনার অধিকাংশ দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এক প্রকার বন্ধ রয়েছে। দোকানে বেচাকেনা নেই, প্রতিদিন বাড়ছে দেনার পরিমাণ। ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি দোকানে গড়ে তিনজন কর্মচারী থাকলেও তাদের মাসে ২৫-৩০ হাজার টাকা বেতন দিতে হচ্ছে। তার ওপর রয়েছে দোকান ভাড়ার বাড়তি চাপ। ফলে দেনার ভারে বন্ধ হচ্ছে অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। নগরীর ডাকবাংলা সুপার মার্কেট ও ক্লে রোড ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক এইচ এম মাহফুজুল ইসলাম বাবলু জানান, এখানকার প্রায় দুই হাজার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আর্থিক ক্ষতিতে রয়েছে। প্রতি মাসে এসব দোকানে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকার ক্ষতি হচ্ছে। বেচাকেনা না থাকায় পুঁজি শেষ হয়ে গেছে অনেকের। খুলনা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি কাজী আমিনুল হক বলেন, পরিস্থিতি এভাবে চলতে থাকলে অধিকাংশ ব্যবসায়ী ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়বেন। এদের মধ্যে আবার অনেকের দেউলিয়া হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে। ব্যাংকের সঙ্গে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের তেমন লেনদেন বা ঋণের সম্পর্ক না থাকায় তারাও ব্যাংক থেকে ঋণ পাচ্ছেন না। এ ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বাঁচাতে ব্যবসায়ী সংগঠন বা স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যস্থতায় ব্যাংকগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের দাবি জানিয়েছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর জেলা সম্পাদক অ্যাডভোকেট কুদরত-ই খুদা। তিনি বলেন, ব্যাংকগুলোকে সহজ শর্তে ঋণ প্রদানে এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি দোকান মালিক-কর্মচারীদের জন্য সর্বজনীন রেশনিং পদ্ধতি চালু করতে হবে।
Print Close  
Print Close  
News Source
            Top
            Top
 
Home / About Us / Benifits /Invite a Friend / Policy
Copyright © Hawker 2009-2010, Allright Reserved