বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক পাঠাতে আরও ২ হাজার সংস্থাকে অনুমতি দেয়া হলে তা মালয়েশিয়াকে বাংলাদেশীদের ডাম্পিং গ্রাউন্ডে পরিণত করতে পারে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে যদি এত সংখ্যক সংস্থা তাদের কর্মী এখানে পাঠাতে চায়, তাহলে মালয়েশিয়া একটি ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হতে পারে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী এম সারাভানান কুয়ালালামপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমন মন্তব্য করেছেন। খবর ফ্রি মালয়েশিয়া টুডের।
দেশটির এই মন্ত্রী উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, যদি বাংলাদেশের আরও ২ হাজার সংস্থাকে এখানে কর্মী পাঠানোর অনুমতি দেয়া হয়, তাহলে মালয়েশিয়া একটি ‘ডাম্পিং গ্রাউন্ড’ হয়ে উঠবে। বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি শ্রমিক পাঠানোর অনুমতিপ্রাপ্ত সংস্থার সংখ্যা বর্তমানের ১০ থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার করতে মালয়েশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। মন্ত্রী সারাভানান বলেছেন, উভয় দেশের সরকার প্রায় এক বছর ধরে তাদের প্রস্তাবিত শ্রমিক নিয়োগের সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) ব্যাপারে আলোচনা করছে। বাংলাদেশী শ্রমিক পাঠানোর জন্য ২ হাজার সংস্থাকে অনুমোদন দেয়ার অনুরোধে তিনি নিজে আপত্তি জানিয়েছিলেন বলে উল্লেখ করেছেন সারাভানান। কুয়ালালামপুরের একটি হোটেলে ‘জোরপূর্বক শ্রম সংক্রান্ত মালয়েশিয়ার জাতীয় কর্মপরিকল্পনা’ প্রণয়নের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, এর আগে ১০টি কোম্পানি বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক আনতে পারত। আমিও বিশ্বাস করি এই সংখ্যা ১০ এর বেশি করতে হবে। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার এই মানবসম্পদ মন্ত্রী। তিনি বলেছেন, আমি সমঝোতা স্মারকের একটি চূড়ান্ত খসড়া পেয়েছি এবং এটি মন্ত্রিসভার বৈঠকে উত্থাপন করব।