[ সম্পাদকীয় ] 2021-11-28 |
|
|
|
সূফী মিজানুর রহমানের আহ্বান |
জাহাজ ভাঙায় প্রথম স্থান ধরে রাখতে হবে
|
বিশ্বমানের ইয়ার্ড গড়ার পরামর্শ |
|
জাহাজ ভাঙায় বাংলাদেশের প্রথম স্থান ধরে রাখতে এ খাতের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সূফী মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। ক্রমান্বয়ে সবগুলো ইয়ার্ড বিশ্বমানের করে গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, নানা প্রতিকূলতার মধ্যে কাজ করে বাংলাদেশে জাহাজ ভাঙা খাত শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। আরও কঠিন পরিশ্রমের মাধ্যমে এ শিল্পকে বিশ্বমানের গ্রিন ইয়ার্ডে রূপান্তর করতে হবে।
চট্টগ্রামের সীতাকু- উপজেলার বানুর বাজারে গতকাল শনিবার দুপুরে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সূফী মিজানুর রহমান। বাংলাদেশ শিপব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসবিআরএ) তিনতলা প্রশিক্ষণকেন্দ্রের উদ্বোধন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সীতাকু-ের প্রায় দেড়শ ইয়ার্ডে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীর প্রশিক্ষণের জন্য সম্প্রতি ভবনটি নির্মাণ করে বিএসবিআরএ।
বিএসবিআরএ-এর সাবেক সভাপতি সূফী মিজানুর রহমান আরও বলেন, বাংলার ইতিহাস মহাবিশ্বের বিস্ময়কর ইতিহাস। ঝড়-তুফান, তপ্ত রোদে কাজ করে এ শিল্পকে এগিয়ে নিচ্ছেন মালিক-শ্রমিকরা। কাজের মধ্য দিয়েই আমাদের বিস্ময়কর ইতিহাস সৃষ্টি করতে হবে। বর্তমানে শিপব্রেকিংয়ে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ অবস্থানে আছে। এ অবস্থান ধরে রাখতে হবে; কেউ যেন ছিনিয়ে নিতে না পারে।
ধীরে ধীরে বিশ্বমানের ইয়ার্ডে পরিণত করতে হবে উল্লেখ করে পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শত শত মানুষ মারা যাচ্ছে বিভিন্নভাবে। শিপব্রেকিং শিল্পে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। হাজার কোটি টাকা সরকার রাজস্ব পাচ্ছে। এখানে আমরা চেষ্টা করি কোনো মায়ের বুক যেন খালি না হয়; কোনো শ্রমিক যেন মারা না যায়। এ জন্য সবগুলো ইয়ার্ডকে গ্রিন ইয়ার্ডে পরিণত করতে হবে। যা দেখে পুরো বিশ্ব অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকবে। এই শিল্পকে ইতিবাচক হিসেবে তুলে ধরতে হবে। বিএসবিআরএ কাজের মধ্য দিয়েই ইতিহাস সৃষ্টি করবে।
সভাপতির বক্তব্যে মো. আবু তাহের বলেন, সংগঠনের সদস্যদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান ও উন্নয়নে কাজ করব। বাংলাদেশের জাহাজ ভাঙা শিল্পকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে আমাদের প্রচেষ্টা
অব্যাহত থাকবে।
বিএসবিআরএ সহসভাপতি জহিরুল ইসলাম রিংকু বলেন, শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তুলতে ট্রেনিং সেন্টারটি নির্মাণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমরা সরকারের সহযোগিতা চাই। আন্তর্জাতিক কিছু কারিকুলাম দিয়ে বিদেশি প্রশিক্ষক এনে শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হোক। জাহাজ ভাঙা শিল্পের যেসব সমস্যা আছে সেগুলো সমাধানে উদ্যোগ প্রয়োজন। আমরা প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা সরকারকে রাজস্ব দিয়ে থাকি। এ খাতে আরও বেশি সহযোগিতা করা যায় কিনা সে বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
বিএসবিআরএ সভাপতি মো. আবু তাহেরের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংগঠনের সিনিয়র সদস্য শওকত আলী চৌধুরী, সহসভাপতি কামালউদ্দিন আহমেদ, এসএম আল মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরে বিএসবিআরএ-এর বার্ষিক সাধারণসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২০২০-২০২১ বছরের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করেন সংগঠনের সভাপতি। বার্ষিক প্রতিবেদন ও অডিট রিপোর্ট অনুমোদন করেন সদস্যরা। |