[ সম্পাদকীয় ] 2021-11-28
 
উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক উত্তরণ
 
মুজিববর্ষ ও সুবর্ণজয়ন্তীর এ বছরে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ হয়েছে। জাতীয় জীবনের আনন্দঘন এই সময়ে এটি নিঃসন্দেহে বাঙালির কাছে এক গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ। এলডিসি গ্রুপ থেকে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের অনুমোদন ছিল শুধু একটি আনুষ্ঠানিকতা। জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিটির (ইকোসক) একটি সহযোগী সংস্থা ‘কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি’ (সিডিপি) পরপর দুবার এই উত্তরণের প্রস্তাব করেছে। বাংলাদেশ দুবারই তিনটি মানদ- পূরণ করেছে। এটিকে যে কোনো এলডিসির জন্য একটি বিরল কীর্তি হিসেবে নিশ্চয় দেখা যেতে পারে। বিশ্বব্যাপী আর্থিক সংকট ও সর্বশেষ করোনা মহাসংকট সত্ত্বেও বাংলাদেশ এক দশক ধরে উদীয়মান এশিয়ায় সর্বোচ্চ মাথাপিছু নমিনাল জিডিপি অর্জন করে তার অর্থনীতি ও সমাজের অভ্যন্তরীণ শক্তি প্রদর্শন করে চলেছে। মূলত বিচক্ষণ প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে উন্নয়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব বিভাগ ও গোষ্ঠীর সঙ্গে সমন্বয় করে বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রা সচল রাখা গেছে। কোভিড-১৯-এর হামলায় যখন বিশ্বের প্রায় সব দেশেই ‘জীবন ও জীবিকা’ সংরক্ষণে হিমশিম খাচ্ছে, তখনো বাংলাদেশের অর্থনীতি দারুণ গতিময় থাকায় নেতৃত্বের মুনশিয়ানার কথা স্বীকার করতেই হয়। এই দুঃসময়েও গত অর্থবছরে চার শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধিই শুধু আমরা অর্জন করেছি তা-ই নয়, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনারও সূচনা করেছি। পরিকল্পনার প্রথম অর্থবছরে আমরা প্রবৃদ্ধির হার ৭.৭ শতাংশ অর্জন করার স্বপ্ন দেখছি। এতটা না হলেও সাত শতাংশের কম হবে না। ফলে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির ধারা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। অবশ্য করোনা সংকট যদি নতুন করে কোনো অঘটন না ঘটায় তবেই তা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে যে কোনো মূল্যে বেশিরভাগ মানুষকে টিকা দেওয়ার নীতিতে অবিচল থাকার কোনো বিকল্প নেই। মাথাপিছু আয় বাংলাদেশের এই উত্তরণের পেছনে এক বড় চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসেই প্রধানমন্ত্রী প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর দিকে নজর দিয়েছেন। অবকাঠামোর উন্নয়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য সহজীকরণ, কোভিডের এই সংকটকালে নানামাত্রিক প্রণোদনা দিয়ে তিনি অর্থনীতির চাকাকে নিরন্তর সচল রেখেছেন। যার ফলে যেখানে ২০০৮-০৯ অর্থবছরে মোট জিডিপির আকার ছিল ১০৩.৫ বিলিয়ন ডলার, সেখানে ২০২০-২১ অর্থবছরে তা ৪১১ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। তার মানে, এরই মধ্যে মোট অর্থনীতির আকার তিন গুণেরও বেশি হয়ে গেছে এই এক যুগে। আমাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার যেহেতু স্থিতিশীল (১ শতাংশের আশপাশে) তাই সহজ হিসাবেই মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির হার তিনগুণের অনেকটাই বেশি। সিডিপির মানদ- অনুযায়ী মাথাপিছু আয় এক হাজার ২৩০ ডলার হলেই চলত। ২০২০ সালে আমাদের মাথাপিছু আয় ছিল এক হাজার ৮২৭ ডলার। এখন তো তা আড়াই হাজার পেরিয়ে গেছে। আমাদের অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসেবে কৃষির সাফল্যের পাশাপাশি রেমিট্যান্স ও রপ্তানির অগ্রগতির কথা না বললেই নয়। এই এক যুগে রপ্তানি ১৫.৫৭ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ৪০.৫৪ বিলিয়ন হয়েছে। রেমিট্যান্স গত বছরের চেয়ে বেশ কমলেও গড়পড়তা তা প্রায় বিশ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছিই থাকবে। তাই এই সময়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সাত বিলিয়ন থেকে বেড়ে ৪৪ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। দারিদ্র্যের হার ৪৮.৯ শতাংশ থেকে কমে ২০.৫ শতাংশ হয়েছে। কোভিডের কারণে সাময়িকভাবে এ হার কিছুটা বেড়েছে। কেননা অনানুষ্ঠানিক খাতে মানুষের কর্মচ্যুতি ঘটেছে এবং আয়-রোজগার কমেছে।

মাথাপিছু আয়ের মতোই অন্য দুটি সূচকেও বাংলাদেশের অর্জন আশাব্যঞ্জক। জনসম্পদ সূচকের মানদ- ৬৬। আমাদের অর্জন ৭৫.৪। অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ভঙ্গুরতার মানদ- ৩২। আমাদের সূচক ২৭। সংখ্যা যত কম হবে, এই সূচক ততই ভালো। সেই বিচারে আমরা জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, রোহিঙ্গা সংকটসহ কোভিড মোকাবিলায় আশাতীত সাফল্য দেখিয়েছি। এ ক্ষেত্রে আমাদের সাফল্যের কথা আমরা কপ২৬-এ ভালোভাবেই বলতে পেরেছি।

সবগুলো সূচক পরপর দুবার পূরণ করে এই চূড়ান্ত গ্রাজুয়েশনের অর্জনের কৃতিত্ব আমাদের বিচক্ষণ নেতৃত্বের এবং এ দেশের উদ্ভাবনীমূলক সব পরিশ্রমী মানুষের। এই উত্তরণের সুফল হিসেবে উচ্চশিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং স্বাস্থ্য খাতে সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়বে। সরকার এরই মধ্যে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, হাইটেক পার্কসহ অনেক মেগা প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। নয়া বাস্তবতায় অনেক বিদেশি উদ্যোক্তা এসব আধুনিক অবকাঠামোর সুযোগ নিশ্চয় নেবে। আমাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আরেকটি অত্যাধুনিক টার্মিনাল নির্মাণের যে কাজ চলছে তাতেও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করা সহজ হবে। উত্তরণের পর আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য আরও প্রতিযোগিতামূলক হবে। বিদেশি প্রতিযোগীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে হলে উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশকে আমদানি-রপ্তানি-করনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হবে। চাপে পড়ে হলেও এসব নীতি-সংস্কার আখেরে আমাদের জন্য ভালোই হবে। আমরা ইতোমধ্যে আমাদের কারখানাগুলোকে অনেকটাই পরিবেশ ও শ্রমিকবান্ধব করতে পেরেছি। তবে বাদবাকিদেরও একই মানের হতে হবে। সবুজ জ্বালানির ব্যবহার, শ্রমিকের অধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে আমাদের শিল্প-কারখানাকে আরও আধুনিক ও মানবিক করার তাগিদ বাড়বে। প্রতিযোগী মূল্যে পণ্য রপ্তানির জন্য এই পরিবর্তন অপরিহার্য হবে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক কূটনীতিকে আরও স্মার্ট করতে হবে। নতুন করে বিশ্ব বাণিজ্যনীতিতে যেসব পরিবর্তনে আমাদের সায় দিতে হবে তাতে কোনোরকম হেলাফেলা চলবে না।

মনে রাখতে হবে যে, এলডিসি হিসেবে এতদিন মেধাস্বত্ব, পেটেন্ট, আইসিটি ও সেবা খাতে বিশেষ বিশেষ যেসব সুবিধা পেতাম, উত্তরণের পর সেসব উঠে যেতে পারে। আমাদের ওষুধশিল্প ২০৩৩ পর্যন্ত উন্নত বিশ্বে শুল্কবিহীন সুবিধা পেতেই থাকবে। ওই সময় পর্যন্ত আইপিআরের শর্তগুলোও শিথিল থাকবে। প্রযুক্তি ও কাঁচামালও আমরা সহজ শর্তে আমদানি করতে পারব। এর পর আমাদের নিজস্ব গবেষণা, পেটেন্টসহ উন্নততর বাণিজ্যে অভ্যস্ত হয়ে উঠতে হবে। গার্মেন্ট খাতেও এ চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার মানসিকতা আমাদের গড়ে তুলতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রে কিন্তু শুল্ক দিয়েই আমরা আরএমজি রপ্তানিতে আমাদের শক্তিমত্তা দেখাচ্ছি। জলবায়ুর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক তহবিল থেকে খুব একটা সহায়তা না পেলেও নিজেদের অর্থ খরচ করেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ মানবসম্পদ উন্নয়নে যেসব বৃত্তি, অনুদান আন্তর্জাতিক ও উন্নত দেশ থেকে পেয়ে থাকি, সেসব হয়তো কমে যাবে। তবে দরকষাকষি করে খানিকটা রক্ষা করাও সম্ভব। বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবি, জাইকা- তাদের দীর্ঘমেয়াদি ঋণের সুদের হার খানিকটা বাড়াবে। এ প্রক্রিয়া এরই মধ্যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে শুরু হয়ে গেছে। তবে ভয় না পেয়ে আমাদের নিজেদের শক্তির জোর দেখাতে প্রস্তুতি নিতে হবে। কৃষি ও রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ ও প্রযুক্তির ব্যবহার আমরা নিশ্চয় তাদের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সক্ষম। অবকাঠামোর উন্নয়ন, ব্যবসার পরিবেশ সক্ষমতা, বন্দর ও লজিস্টিক ব্যবস্থাপনায় সক্ষমতা বাড়িয়ে নিশ্চয় শুল্ক দিয়েও আমাদের পণ্যকে বিশ্বে প্রতিযোগী করে তুলতে পারি। তাই এখন আমাদের নতুন পণ্য, নতুন বাজার এবং উৎপাদন পদ্ধতিকে আধুনিক করার দিকে মনোযোগ দিতে হবে। আমরা যদি আগামী দিনে জ্ঞানভিত্তিক ও সবুজ অর্থনীতির দিকে মনোযোগ দিই এবং সেজন্য কাক্সিক্ষত মানবসম্পদ উন্নয়ন করতে পারি, তা হলে উত্তরণের পরও বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে জোর কদমে। এ ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসের বিষয়টিই সবচেয়ে বড় কথা।

আমাদের জাতির মননে বঙ্গবন্ধু যে লড়াকু মানসিকতা গেঁথে দিয়ে গেছেন সেটি কাজে লাগিয়ে আমরা উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে নিরন্তর লেগে আছ। আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির যে ধারার সূচনা করেছি তা শুধু অক্ষুণœ নয়, আরও গতিময় করতে হবে। দক্ষিণ কোরিয়া তেমনটি করেই আজ উন্নত দেশ। ভিয়েতনামও সেই পথে হাঁটছে। মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড এবং চীনও একই পথের যাত্রী। তাই কোনোদিকে না তাকিয়ে দেশি-বিদেশি সম্পদের সমাবেশ করে অন্তর্ভুক্তিমূলক উচ্চ প্রবৃদ্ধির পথেই আরও অনেকটা পথ আমাদের হাঁটতে হবে। এলডিসি থেকে উত্তরণের ফলে আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে স্বল্প সুদে ঋণ পাব না, জাতিসংঘ থেকে অনুদান এবং সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ফ্রি টিকিট পাব না- এসব অবান্তর ভাবনা থেকে এখন আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। আমরা এখন আর কতই বা অনুদান ও রেয়াতি সুদে বিদেশি ঋণ নিই? প্রায় সব ঋণই তো ‘নন-কনসেশনাল’ হয়ে গেছে। ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতার সুযোগ নিয়ে শক্তিশালী প্রতিযোগী হিসেবেই বাংলাদেশকে বিশ্ব অর্থনীতির মাঠে দৌড়ে খেলতে হবে। চীন থেকে অনেক বিদেশি উদ্যোক্তাই ‘রুলস অব অরিজিন’-এর সুযোগ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশে আসতে শুরু করেছেন। বাংলাদেশ থেকেই বিদেশিরা তাদের পণ্য রপ্তানি করবেন। আমাদের খেয়াল রাখতে হবে, এসব পণ্য রপ্তানি থেকে তাদের আয়ের একটি বড় অংশ যেন বাংলাদেশেই পুনর্বিনিয়োগ হয়। আমাদের মধ্য ও উচ্চ আয়ের মানুষের সংখ্যাও দ্রুত বাড়ছে। তাদের উচ্চমানের পণ্যের ভোগের চাহিদাও বাড়ছে। বাড়ন্ত এই অভ্যন্তরীণ বাজারের দিকে নিশ্চয় বিদেশি বিনিয়োগকারীদেরও মনোযোগ রয়েছে। তাই আমাদের দেশীয় বাজারেও প্রযুক্তিনির্ভর নয়াপণ্যের বিকিকিনি বাড়বে।

আমাদের তাই দ্রুতই ‘নিট আমদানিকারক’ দেশের পরিচয় ঘুচিয়ে আরও আমদানিবিকল্প এবং রপ্তানিমুখী শিল্প গড়ার প্রাতিষ্ঠানিক ও অবকাঠামোগত সুযোগ বাড়িয়ে যেতে হবে। রপ্তানি পণ্যের কাঁচামাল আমাদের দেশেই দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তারা আমাদের ইপিজেড, বেজা, বেপজা, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে উৎপাদন করবেন- সেই সক্ষমতা অর্জনের দিকেই আমাদের নীতি-মনোযোগ বাড়াতে হবে। এরই মধ্যে আমরা সিমেন্ট, পেট্রো কেমিক্যাল, উন্নতমানের বড় সুতা উৎপাদনে প্রভূত উন্নতি করেছি। এসব সহায়ক শিল্পের উন্নয়নে একদিকে দেশি বাজারের জন্য শিল্পায়নের জন্য কাঁচামালের চাহিদা মিটছে, অন্যদিকে আমাদের প্রতি ইউনিট রপ্তানি আয় থেকে মূল্য সংযোজনও বাড়ছে। এভাবেই আমাদের ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ স্লোগানটিকে বাস্তবে রূপায়ণ করতে হবে।

আমাদের উন্নয়নের এই ধারাকে আরও বেগবান করতে তাই সরকারকে অবারিত বিদ্যুৎ সরবরাহ, নির্ঝঞ্ঝাট পরিবহন, দক্ষ বন্দর ব্যবস্থাপনা, দক্ষ জনশক্তি তৈরি এবং ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের সক্রিয় ব্যক্তি খাতকে আরও দক্ষ করার জন্য ব্যবসায় সহায়ক নীতি, তথ্য, আর্থিক খাতের আরও আধুনিকায়ন ও সুশাসন এবং সর্বোপরি মহামারী-উত্তর নয়া পৃথিবীতে নিজেদের শক্তিমত্তা বজায় রাখতে সবুজ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই উন্নয়নের কৌশলকে আরও জোরদার করতে হবে। এসব নীতি রূপান্তরের প্রশ্নে বঙ্গবন্ধুকন্যা পুরোপুরি অঙ্গীকারবদ্ধ। তবে আগামী দিনগুলোতে আমাদের আরও ব্যাপক হারে সম্পদের সমাবেশ ঘটাতে হবে। সেজন্য কর কাঠামোর ব্যাপক সংস্কার করতে হবে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ মেগা প্রকল্পগুলো দ্রুতই বাস্তবায়ন করতে হবে। এসবই হবে কর্মসংস্থান বাড়ানোর বড় সহায়ক। আর কর্মসংস্থান বাড়লেই দারিদ্র্য কমবে। বৈষম্যও কমবে।

তা ছাড়া রপ্তানি খাতে বস্ত্রশিল্পের বাইরের উদ্যোক্তা যেন একইরকম প্রণোদনা পান তা নিশ্চিত করতে হবে। রপ্তানি বাড়াতে মুক্তবাণিজ্য চুক্তিসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চৌকস অর্থনৈতিক কূটনীতির কোনো বিকল্প নেই। সেই লক্ষ্যে আমাদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও বাণিজ্যনীতি ঢেলে সাজাতে হবে। তবেই না উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমরা আমাদের মানমর্যাদা বজায় রাখতে পারব। সবশেষে বলতে চাই উন্নয়নশীল দেশের উপযুক্ত মানব শক্তি এবং স্মার্ট কূটনীতির প্রসারে যা যা করা দরকার সরকারসহ সব অংশীজনকে নিষ্ঠার সঙ্গে তা করতে হবে।
Print Close  
Print Close  
News Source
            Top
            Top
 
Home / About Us / Benifits /Invite a Friend / Policy
Copyright © Hawker 2009-2010, Allright Reserved