[ অর্থ বাণিজ্য ] 2021-11-28
 
আয়কর রিটার্নে রেয়াত পেতে যা প্রয়োজন
 
করদাতার যদি জীবন বীমা থাকে, তবে প্রিমিয়াম বাবদ পরিশোধ করা অর্থে কর রেয়াত পাবেন। প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত ডিপোজিট পেনশন স্কিমে (ডিপিএস) করলে অর্থাৎ বছরে ৬০ হাজার পর্যন্ত টাকা রাখলেও কর রেয়াতের জন্য বিবেচিত হবে। কর রেয়াত নিতে সাধারণ করদাতাদের জন্য সবচেয়ে সহজ বিকল্প হলো সঞ্চয়পত্র। এতে বিনিয়োগ করে যে কেউ নিতে পারবেন কর রেয়াত। এ ছাড়া শেয়ারবাজারে টাকা বিনিয়োগেও কর রেয়াত পাওয়া যাবে।

এ ছাড়া ডিবেঞ্চার ও ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগে কর রেয়াত রয়েছে। ভবিষ্য তহবিলে দেওয়া চাঁদা বাবদ কর রেয়াত পাওয়া যায়। সরকারি কর্মকর্তার প্রভিডেন্ট ফান্ডে চাঁদা, স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিলে কর্মকর্তা ও নিয়োগ কর্তার দেওয়া চাঁদা, সুপার অ্যানুয়েশন ফান্ডে দেওয়া চাঁদা, কল্যাণ তহবিলে দেওয়া চাঁদা ও গ্রুপ বীমা স্কিমের কিস্তির জন্য কর রেয়াত সুবিধা রয়েছে। সরকার স্বীকৃত কোনো জাকাত তহবিলে দান করলেও করদাতা কর রেয়াত পাবেন।

রেয়াত নেওয়ার নিয়ম : কর রেয়াত পেতে ওপরে উল্লেখিত এসব খাতে একজন করদাতা বছরের মোট আয়ের ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগ বা দান করতে পারবেন। এর বেশি করলে অতিরিক্ত অংশের কর রেয়াত মিলবে না। ওই বিনিয়োগকারী বা দানশীল করদাতার বার্ষিক আয় ১৫ লাখ টাকার কম হলে মোট বিনিয়োগ ও দানের ১৫ শতাংশ কর ছাড় মিলবে। ১৫ লাখ টাকার বেশি হলে ১০ শতাংশ হারে কর ছাড় পাওয়া যাবে। কর রেয়াত নিতে হলে রিটার্ন ফরমের সঙ্গে ২৪ডি তফসিল ফরম পূরণ করতে হবে। সেখানে বিনিয়োগ বা দানের বিষয়গুলো উল্লেখ করতে হবে। ওই ফরমটি পূরণ করে বার্ষিক রিটার্নে সংযুক্ত করতে হবে। এর পাশাপাশি বিনিয়োগ বা দানের প্রমাণপত্রও দিতে হবে।
Print Close  
Print Close  
News Source
            Top
            Top
 
Home / About Us / Benifits /Invite a Friend / Policy
Copyright © Hawker 2009-2010, Allright Reserved