[ শিল্প ও বাণিজ্য ] 2022-01-18 |
|
|
|
|
আইনি জটিলতায় শিল্পনীতির সুফল পাচ্ছেন না উদ্যোক্তারা
|
এফবিসিসিআইর স্ট্যান্ডিং কমিটির আলোচনা |
|
নতুন জাতীয় শিল্পনীতি প্রণয়ন করতে যাচ্ছে সরকার। কিন্তু আইনি জটিলতার কারণে বর্তমান নীতিতে থাকা অনেক সুবিধার সুফল নিতে পারছেন না উদ্যোক্তারা। এমন অবস্থায় আগামী শিল্পনীতির আইনি ভিত্তি থাকা প্রয়োজন। গতকাল সোমবার ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর শিল্প ও শিল্পনীতি বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এমন পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়।
সংগঠনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজধানীর এফবিসিসিআই কার্যালয়ে কমিটির প্রথম সভায় সদস্যরা বলেন, দেশে বিদ্যমান বিভিন্ন নীতি একে অন্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এর ফলে নানা ক্ষেত্রে নীতি-সুবিধাবঞ্চিত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এতে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ব্যাহত হচ্ছে শিল্পায়ন।
এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি ও স্ট্যান্ডিং কমিটির ডিরেক্টর-ইন-চার্জ মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বলেন, শিল্পনীতি বাস্তবায়নে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় থাকা জরুরি। এ ছাড়া অর্থ, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়কে বিশেষায়িত করা প্রয়োজন।
তিনি অভিযোগ করেন, বিসিক শিল্পনগরীতে অনেক ক্ষেত্রে সেবা না পেলেও সার্ভিস চার্জ গুনতে হয়। শিল্প মালিকদের সঙ্গে আলোচনা না করেই কখনও কখনও এ চার্জ ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ বাড়ানো হচ্ছে। শিল্পনগরীতে জমির উচ্চমূল্যের কারণেও শিল্পায়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, বিভিন্ন দেশ তাদের শিল্পের সুরক্ষা দিতে বিদেশি পণ্যে অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক্কসহ নানা রকম বিধিনিষেধ আরোপ করে। বাংলাদেশও প্রয়োজনে এ ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে।
স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান শামীম আহমেদ বলেন, অর্থনীতিতে ৫০ শতাংশের বেশি অবদান রাখে সেবা খাত। কিন্তু শিল্পনীতির খসড়া এ খাতকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও শিল্পনীতিতে তার উল্লেখ নেই। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নীতি ও শিল্পনীতির মধ্যে অনেক অসামঞ্জস্য থাকায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা নিরুৎসাহিত হচ্ছেন।
কমিটির সদস্যরা বলেন, বিভিন্ন নীতির মধ্যে সমন্বয়হীনতা রয়েছে। শিল্পনীতিকে সর্বোচ্চ নীতি হিসেবে বিবেচনা করতে হবে, যাতে অন্য কোনো নীতি সাংঘর্ষিক হলে শিল্পনীতির বিধান অনুযায়ী উদ্যোক্তারা সুবিধা নিতে পারেন। নতুন শিল্পনীতিতে এলডিসি-পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, রপ্তানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনা, দক্ষ জনশক্তি তৈরি, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার ও এসএমই খাতে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সেলিম উল্লাহ জাতীয় শিল্পনীতি ২০২১-এর খসড়ার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। আরও উপস্থিত ছিলেন স্ট্যান্ডিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক ও আসিফ ইব্রাহিম, এফবিসিসিআইর পরিচালক আবুল কাশেম খান, ড. নাদিয়া বিনতে আমিন, আব্দুল হক, এমসিসিআইর সাবেক সভাপতি নিহাদ কবীর, এফবিসিসিআইর উপদেষ্টা মনজুর রহমান, বিল্ডের সিইও ফেরদৌস আরা বেগম প্রমুখ।
|