[ অনলাইন ] 2022-01-18 |
|
|
|
৭৭ শতাংশ সিইও আশাবাদী |
বিশ্ব অর্থনীতি এ বছর ঘুরে দাঁড়াবে
|
|
|
করোনা মহামারির জেরে বিশ্বজুড়ে মূল্যস্ফীতি, সরবরাহ সংকট এবং শ্রমিক ঘাটতি ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। এর পরও ২০২২ সালে অর্থনীতি নিয়ে আশাবাদী বৈশ্বিক কম্পানিগুলোর প্রধান নির্বাহীরা। এমনকি তাঁদের এ আত্মবিশ্বাস একদশকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। বহুজাতিক সেবা প্রতিষ্ঠান পিডাব্লিউসির বৈশ্বিক সিইও (প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা) জরিপে এমন চিত্র উঠে এসেছে।
গতকাল সোমবার প্রকাশিত ২৫তম বার্ষিক এই জরিপে দেখা যায়, ৭৭ শতাংশ সিইও আশাবাদী, ২০২২ সালে বিশ্ব অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে। যদিও মাত্র ১৫ শতাংশ মনে করেন এ বছর আরো অবনতি ঘটবে। ২০১২ সাল থেকে শুরু হওয়া এ জরিপে এই প্রথম সর্বোচ্চ করপোরেট নেতৃত্ব অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসের কথা জানালেন। গত বছর ৭৬ শতাংশ সিইও অর্থনীতি নিয়ে আশাবাদী ছিলেন।
kalerkanthoপ্রাইস ওয়াটার হাউস কুপার্স (পিডাব্লিউসি) গত অক্টোবর থেকে নভেম্বর সময়ের মধ্যে বিশ্বের ৮৯টি দেশের প্রায় চার হাজার ৫০০ সিইওর মতামত গ্রহণ করে এ প্রতিবেদন তৈরি করে। তবে সে সময় করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন এত ব্যাপক আকার ধারণ করেনি।
জরিপে সবচেয়ে আশাবাদী ভারতের সিইওরা। সেখানের ৯৪ শতাংশই এ বছর বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি বাড়বে বলে জানায়। এর পাশাপাশি জাপানের ৮৩ শতাংশ এবং যুক্তরাজ্যের ৮২ শতাংশ সিইও এ বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন।
জরিপে বিশ্বজুড়ে সাইবার হামলার ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ৪৯ শতাংশ সিইও। এর পাশাপাশি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়েও ৪৮ শতাংশ তাঁদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। তাঁদের মতে, এ দুটি সমস্যাই এ বছর ব্যাবসায়িক সাফল্য অর্জনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তবে বিশ্বজুড়ে পরিবেশ সচেতনতা সত্ত্বেও মাত্র ২২ শতাংশ উত্তরদাতা কার্বন নির্গমন শূন্যতে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়েছেন।
পিডাব্লিউসির বৈশ্বিক চেয়ারম্যান বব মরিটজ বলেন, ‘যদিও চলমান করোনা সংকট ও নতুন ধরন ওমিক্রনের দ্রুত বিস্তার বিশ্বজুড়ে হতাশার ছায়া তৈরি করেছে। এর পরও সিইওদের মাঝে আমরা উচ্চ আত্মবিশ্বাস দেখেছি, যাঁদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তাঁরা বলছেন, এ বছর অর্থনীতি শক্তিশালী হবে এবং আগের অবস্থায় ফিরে আসবে। কারণ তাঁরা মনে করছেন কোনো কিছুই এখন স্বাভাবিক নেই। বর্তমান পরিস্থিতিও অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। কিন্তু তাঁরা অনিশ্চিত পরিস্থিতির মধ্যে কাজ করে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। ফলে তাঁরা জানেন কিভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয়। তাই তাঁরা ২০২২ সাল নিয়ে পুরোপুরি ইতিবাচক।’ |