[ অনলাইন ] 16/05/2024 |
|
|
|
৫০ শতক জমি উদ্ধার হয়নি সাত বছরেও |
|
|
দেবীগঞ্জ সরকারি কারিগরি কলেজের বেহাত ৫০ শতক জমি উদ্ধারে হিমশিম অবস্থা কর্তৃপক্ষের। জমি পুনরুদ্ধারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও সমাধান মেলেনি সাত বছরে। পাবলিক ক্লাব নামে একটি সংগঠন জায়গাটি দখলে রেখেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন চৌধুরী। তাঁর ভাষ্য, পাবলিক ক্লাব মাঠ ব্রিটিশ আমল থেকেই আছে। এখানে স্কুলের জমি বন্দোবস্ত দেওয়াটা ভুল হয়েছে। তবে টেকনিক্যাল স্কুলের শিক্ষার্থীরা মাঠটি ব্যবহার করতে পারে। এটি সবার জন্য উন্মুক্ত। বলা যায় মাঠটি টেকনিক্যাল স্কুল ও পাবলিক ক্লাব উভয়ের।
২০১৬ সালের ৫ মে সরকারের কাছ থেকে ১ নম্বর খতিয়ানের ১৫৮৪ নম্বর দাগে দেড় একর জমি বন্দোবস্ত মূল্যে কিনে নেয় দেবীগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ। জেলা প্রশাসক পঞ্চগড় এবং কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে দলিল সম্পাদিত হয়। প্রতিষ্ঠাকালীনই অজ্ঞাত কারণে এক একর জমি দখলে নিয়ে একাডেমিক ভবনসহ ক্যাম্পাস গড়ে ওঠে। পাঠদান শুরু হয় ২০২২ সালে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই নানা সংকটের মধ্যেও সফলভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে পাঁচটি শ্রেণিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছয় শতাধিক।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, বন্দোবস্ত জমির তুলনায় প্রকৃত জমির পরিমাণ কম থাকায় শিক্ষার্থীদের প্রাত্যহিক সমাবেশ, খেলাধুলা এমনকি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের সময় জায়গার সংকুলান না হওয়ায় বেহাত হওয়া জমি উদ্ধারের চেষ্টা করে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বাদ সাধে পাবলিক ক্লাব। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ সাব-স্টেশনের জায়গা নির্বাচনের সময় নতুন করে আলোচনায় আসে বেদখল ৫০ শতক জমির বিষয়টি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্লাবের নেতাসহ প্রশাসনের সঙ্গে বসে জমির বিষয়টি সুরাহার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি।
অধ্যক্ষ প্রকৌশলী আমিনুল হক জানিয়েছেন, এ বিষয়ে টিএসসির (টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ) প্রকল্প পরিচালককে চিঠি দিয়েছেন। প্রকল্প পরিচালক পঞ্চগড় জেলা প্রশাসককে চিঠি দিয়েছেন। জেলা প্রশাসক দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের বাকি ৫০ শতক জমি বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু জমি বুঝে পাননি।
অধ্যক্ষ আরও বলেন, জায়গায় অভাবে প্রাত্যহিক সমাবেশ করা যাচ্ছে না। চাইলেও এখানে অবকাঠামো নির্মাণ সম্ভব হচ্ছে না। জমি বুঝে পেলে এ সমস্যাগুলো হতো না।
প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফুল আলম সমকালকে বলেন, পাবলিক ক্লাব কর্তৃপক্ষ জমিটি তাদের বললেও দলিলপত্র দেখাতে পারেনি। এর পরও তাদের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।
|
News Source
|
|
|
|
|
|
|
|
Today's Other News
|
Related Stories |
|
|
|
|