[ অনলাইন ] 22/05/2024 |
|
|
|
ব্যাংক লুটেরা, অর্থ পাচারকারীদের তালিকা চায় গণসংহতি আন্দোলন |
|
|
আগামী ৩০ জুনের মধ্যে ব্যাংক লুটেরা, ঋণখেলাপি ও অর্থ পাচারকারীদের তালিকা প্রকাশের দাবি জানিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন। তা না হলে বাংলাদেশ ব্যাংক ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।
মঙ্গলবার রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংক-সংলগ্ন সড়কে সমাবেশ থেকে এ আলটিমেটাম দেওয়া হয়। দলটি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ডাকলেও পুলিশি বাধায় শাপলা চত্বর-সংলগ্ন ফুট ওভারব্রিজের আগে সমাবেশ করে।
এ সময় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিরাপত্তার কথা বলে আমাদের প্রধান ফটকের সামনে যেতে দেয়নি পুলিশ। অথচ ভেতরে-ভেতরে সব লুট হয়ে যাচ্ছে। পাচারকারীরা দেশটা ফোকলা করে ফেলছে। যারা লুটপাট করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে তোষণ করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণের তথ্য প্রকাশ করছে। বাস্তবে খেলাপি ঋণ চার লাখ কোটি টাকার বেশি। তবে প্রকৃতপক্ষে তা আরও বেশি। কেননা, এক ব্যাংকের পরিচালক আরেক ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে আর ফেরত দেন না। আবার সমঝোতার কারণে এসব খোলাপিও দেখানো হয় না।
রিজার্ভ নিয়ে তিনি বলেন, সরকার ৪৮ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ নিয়ে বড়াই করতে। এখন প্রকৃত রিজার্ভ নেমেছে ১৩ বিলিয়নে ডলারে। যারা রপ্তানি করে অর্থ ফেরত আনছেন না; এলসির আড়ালে অর্থ পাচার করছেন, তাদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। বিদ্যুৎ খাতে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে নিজেদের ভাই-ব্রাদারদের হাজার হাজার কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে। এভাবে প্রতিটি খাতে লুটপাট হচ্ছে।
সাকি আরও বলেন, ব্যাংক বসে পড়লে আমানতকারী আর টাকা ফেরত পাবেন না। বেতন হবে না কর্মীদের। এ পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে এখন দুর্বল ব্যাংক একীভূত করা হচ্ছে। জনগণের সঞ্চিত টাকা লুট করে নিয়ে যাচ্ছেন কতিপয় চিহ্নিত লুটেরা। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে একই ব্যক্তির হাতে একাধিক ব্যাংক দেওয়া হচ্ছে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য হাসান মারুফ রুমী, তাসলিমা আখ্তার, মনির উদ্দীন পাপ্পু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, জুলহাসনাইন বাবু প্রমুখ। |
News Source
|
|
|
|
|
|
|
|
Today's Other News
|
Related Stories |
|
|
|
|