[ অনলাইন ] 11/01/2023 |
|
|
|
এক টাকাও অসৎ উপায়ে উপার্জন করিনি |
|
বললেন ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খান |
এক টাকাও অসৎ উপায়ে উপার্জন করেননি দাবি করে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান বলেছেন, আমার বেতন সবার কাছেই ওপেন, এখানে লুকোচুরির কিছু নেই। বেতন ছাড়া আমার আয়ের কোনো পথ নেই। আমি দুর্নীতি করেছি এমন অনেক রিপোর্ট সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু আমি তো কোনো দুর্নীতি করিনি। সেসব অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ হয়েছে। আয়কর নথিতে উপার্জনের তথ্য স্পষ্ট করে উল্লেখ করা আছে। গতকাল মঙ্গলবার কারওয়ান বাজার ওয়াসা ভবনের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ওয়াসা এমডি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমার আয়ে যেভাবে চলা যায় সেভাবেই চলি। আমার স্ত্রী-সন্তান যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এবং সেখানে ওয়েল স্টাবলিস্ড। তাদের জন্য টাকা পাঠানো দরকার হয় না। যুক্তরাষ্ট্রে তার কেনা কোনো বাড়ি নেই দাবি করে তাকসিম এ খান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ১৪টি বাড়ির ডাঁহা মিথ্যা একটি প্রতিবেদন ছাপানো হলো। সেখানে আমার স্ত্রী ও একমাত্র সন্তান তারা দুজনেই ওয়েল (ভালো) জব করে। তারা সেখানে চমৎকারভাবে প্রতিষ্ঠিত। তাই তাদের কাছে টাকা পাঠানোর কোনো দরকার নেই। আমার টাকারও তাদের কোনো প্রয়োজন নেই। বরং আমার যদি প্রয়োজন হয় তাহলে তারাই আমাকে মাঝে-মধ্যে টাকা পাঠায়। ১৪টি বাড়ির মধ্যে শুধু একটি বাড়ি আমার স্ত্রীর নামে কেনা। বাকি কোনোটিই আমার বা আমার পরিবারের কারও নয়। এখন যারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে হেয় করার জন্য যে ডাঁহা মিথ্যা প্রতিবেদন করল, এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
তিনি বলেন, যে ১৪টি বাড়ির কথা বলা হয়েছে তার মধ্যে পাঁচটি বাড়িতে আমার পরিবার সেখানে বিভিন্ন সময় ভাড়া থেকেছেন। আর একটি বাড়ি আমার স্ত্রীর নামে। আমি, আমার স্ত্রী, সন্তান সবাই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। ওই প্রতিবেদনের সবচেয়ে হাস্যকর বিষয় হচ্ছে, তারা যেসব তথ্য দিয়েছে, আপনি ইন্টারনেটে আমাদের নাম সার্চ করলে দেখতে পারবেন যে, আমি কোথায় ছিলাম এবং কী করেছি। তাকসিম এ খান বলেন, আমার স্ত্রী তার বাবার বাড়ির দিক থেকে অনেক সম্পত্তি, জমি পেয়েছে। সে কারণে আমার ঢাকায় কোনো কিছু কেনার কখনো দরকার হয়নি। আমি যা বেতন পাই সব মিলিয়ে আল্লাহর রহমতে আমাদের ভালোভাবে চলে যাচ্ছে। তাই দুর্নীতি, অসৎ উপায়ে উপার্জনের কোনো দরকার হয় না আমার।
ওয়াসার এমডি আরও বলেন, আমি বহুবার ঢাকা ওয়াসার এমডি পদের চাকরি ছেড়ে দিতে চেয়েছি। কিন্তু আমাকে অনুরোধ করে রাখা হয়েছে। আমার কাজে মন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী কখনো বিব্রত হননি। |
News Source
|
|
|
|
|
|
|
|
Today's Other News
|
Related Stories |
|
|
|
|