সম্প্রতি একই কায়দায় রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে আড়াই বছর বয়সি এক শিশুকে অপহরণ করে কুমিল্লার লালমাই উপজেলায় নিয়ে বিক্রি করে দেয় চক্রটি। পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অপহৃত শিশুকে উদ্ধার ও অপহরণের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, সুলতানা আক্তার ওরফে নেহা, তার স্বামী সাইফুল ইসলাম ও ক্রেতা মো. শাহজাহান।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) হারুন-অর-রশীদ। ঘটনার বিষয়ে হারুন বলেন, ‘পেশায় রিকশাচালক নুরুল ইসলাম রাজধানীর হাজারীবাগ থানার নিউ মডেল টাউন এলাকায় দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতেন। ২১ মার্চ বিকালে বাসার সামনে তার ছয় বছর বয়সি মেয়ে তাবাস্‌সুম ও ছেলে তাওসীন খেলতে যায়। এ সময় শিশুদের নানি তাদের সঙ্গে ছিল। একজন বোরকা পরা নারী নানির সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। নানি বাচ্চাদের রেখে বাসায় গেলে ওই নারী শিশুদের দুজনকে চিপস কিনে দেয়। চিপস নিয়ে তাবাসসুম বাসায় ফিরলেও তাহসীনকে নিজের কাছে রেখে দেন। একপর্যায়ে শিশুটিকে নিয়ে ওই নারী ঝাউচর মেইন রোডের দিকে চলে যান।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করে না পেয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলাটির ছায়াতদন্তে নেমে অপহরণ চক্রটিকে শনাক্ত করেন ডিবির রমনা বিভাগের ধানমন্ডি জোনাল টিমের সদস্যরা। পরে অভিযান চালিয়ে কুমিল্লার লালমাই থানার বড়তোলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে শাহজাহানের বাড়ি থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। তিনি ৫০ হাজার টাকায় শিশুটিকে সাইফুল-নেহা দম্পতির কাছ থেকে কিনে নেন। এরপর আগে এই দম্পতির কাছে তার জন্য একটি ছেলে শিশুর অর্ডার দিয়েছিলেন।’

ডিবিপ্রধান বলেন, ‘চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে বিয়ের ঘটকদের মতো নিঃসন্তান দম্পতির কাছ থেকে অর্ডার নিয়ে চাহিদামতো শিশু চুরি করে বিক্রি করত। অপহরণের কাজটি করতেন সাইফুলের স্ত্রী নেহা।’