Hawkerbd.com     SINCE
 
 
 
 
প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ [ অনলাইন ] 18/04/2024
রৌমারীর খেদাইমারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়
প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
রৌমারীর খেদাইমারী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল ওয়াহাবের বিরুদ্ধে জালিয়াতি, প্রতারণা, নিয়োগ বাণিজ্য ও অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে উপপরিচালক, জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ তুলে লিখিত দরখাস্ত করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রৌমারীর খেদাইমারী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। নদীভাঙনের কারণে রেজিস্ট্রেশনবিহীন অন্যের জমিতে বিদ্যালয়টি স্থানান্তরিত হয়। তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শফিকুর রহমানকে অব্যাহতি দিয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষক মো. আব্দুল ওয়াহাবকে ২০১৫ সালে রৌমারীর খেদাইমারী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের কিছুদিন যেতে না যেতেই তিনি জালিয়াতি, প্রতারণা, নিয়োগ বাণিজ্য ও অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন। তিনি চাকরির প্রলোভন দিয়ে কয়েক দফা নিয়োগ দেওয়ার নামে কয়েকজন যুবকের কাছ থেকে অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এছাড়া প্রধান শিক্ষক ডিজির ও সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আমজাদ হোসেনের স্বাক্ষর ও সিলমোহর জাল ও ভুয়া রেজুলেশন জালিয়াতি করে পাঁচজন শিক্ষককে নিয়োগ দিয়ে ঘুস গ্রহণ করেন। এ নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আমজাদ হোসেন ও তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শফিকুর রহমান পৃথক পৃথকভাবে কোর্টে দুটি মামলা করেন। মামলা চলমান আছে। ৯ বছর পর ফাঁস হলো প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল ওয়াহাবের বিরুদ্ধে জালিয়াতি, প্রতারণা, নিয়োগ বাণিজ্য ও অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। অভিযোগ রয়েছে, নিয়োগের পাশাপাশি বিগত দিনেও ভর্তি ও ফরম ফিলাপের ক্ষেত্রেও একইভাবে অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ করেন তিনি। অপরদিকে স্কুলটিতে ৯ বছর ধরে শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায্য পাওনা শতকরা ১০ ভাগ বেতন-ভাতা ও টিওশন ফি বাবদ কোটি টাকা আদায় হলেও না দিয়ে লুটপাট করে আত্মসাৎ করেন। সর্বোপরি বিধিবহির্ভূতভাবে স্কুলের সভাপতির স্বাক্ষর, সিলমোহর এবং অনুমোদন ছাড়াই একক স্বাক্ষরে বিদ্যালয়ের নামে সোনালী ব্যাংক রৌমারী শাখায় একটি হিসাব খোলেন। এ ব্যাপারে খেদাইমারী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল ওয়াহাবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করেছে তা সঠিক নয়। আমি নিয়োগপ্রাপ্ত একজন প্রধান শিক্ষক। এছাড়া আমি কোনো অনিয়ম ও দুর্নীতি করি নাই। এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আমজাদ হোসেন বলেন, গোপনে প্রধান শিক্ষক ডিজির ও সভাপতির স্বাক্ষর ও সিলমোহর জাল, ভুয়া রেজুলেশন ও কাগজপত্র জালিয়াতি করে পাঁচজন শিক্ষককে নিয়োগ দিয়ে ঘুস গ্রহণ করেন। এ নিয়ে আমি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা করেছি। মামলাটি চলমান রয়েছে।


News Source
 
 
 
 
Today's Other News
More
Related Stories
 
Forward to Friend Print Close Add to Archive Personal Archive  
Forward to Friend Print Close Add to Archive Personal Archive  
 
 
Home / About Us / Benifits / Invite a Friend / Policy
Copyright © Hawker 2013-2012, Allright Reserved