[ অনলাইন ] 18/04/2024 |
|
|
|
মানিলন্ডারিং মামলায় ১০ মাদক গডফাদারের সম্পত্তি ক্রোক |
|
মাদক কারবারে সংশ্লিষ্ট বদির দুই ভাই : সিআইডি |
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) জানিয়েছে কক্সবাজার কেন্দ্রীক মাদকের কারবারের সঙ্গে টেকনাফের সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির আপন দুই ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। তারা হলেন, আমিনুর রহমান ও আব্দুর শুক্কুর।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর মালিবাগস্থ সিআইডির সদর দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তদন্ত সংস্থাটির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া। এসময় মানিলন্ডারিং মামলায় ১০ মাদক গডফাদারের সম্পত্তি ক্রোক করার বিষয়ে জানান তিনি।
সাংবাদিকদের মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, সারা বাংলাদেশে মাদকের মামলা রয়েছে। যাদের সম্পৃক্ততা পাবো তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সে যেই হোক না কেনো। তার (বদির) ভাই এবং তাদের অনুসারীদের সম্পৃক্ততা আমরা পেয়েছি। এই দুই ভাইকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করবো সেখানে যদি তার (বদি) নাম আসে তাকেও গ্রেফতার করব। মাদকের বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
বদির দুই ভাইয়ের ভূমিকার বিষয়ে জানতে চাইলে সিআইডি প্রধান বলেন, আমিনুর রহমান ও আব্দুর শুক্কুর বিভিন্নভাবে মিয়ানমার থেকে বিভিন্নভাবে ইয়াবা আনে। এরপর তাদের নিয়োজিত সহযোগীরা বিভিন্নস্থানে পৌঁছে দেয়। ইতোমধ্যে বদির ভাইদের ৬ দশমিক ৯ একর জমি শনাক্ত করা হয়েছে। এছাড়া এক কোটি টাকা মূল্যের ৪০ শতাংশ জমির তথ্য পাওয়া গেছে। জমির তথ্য এখনো ডিজিটালাইজড হয় নি। ফলে মাঠ পর্যায়ে নানাভাবে এই তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। এ বিষয়ে আমরা পরবর্তীতে আরও বিস্তারিত জানাতে পারবো।
সিআইডি জানায়, প্রাথমিকভাবে ৩৫টি মামলা তদন্ত করে মাদক মামলার মূল হোতা তথা গডফাদারদের মাদক ব্যবসা থেকে অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ (ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রাখা), ক্রয়কৃত জমি, বাড়ি ও ফ্ল্যাটসহ বিভিন্ন স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির সন্ধান পায়। এসব মামলায় অবৈধভাবে অর্জিত অর্থের পরিমাণ প্রায় ১৭৮ দশমিক ৪৪ কোটি টাকা।
অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, সিআইডি ইতোমধ্যে উল্লিখিত মামলাসমূহের মধ্যে ৩টি মামলায় গডফাদারদের ৯ দশমিক ১৪ একর জমি ও ২টি বাড়ি যার মূল্য ৮ দশমিক ১১ কোটি টাকা ক্রোক এবং মাদক সংক্রান্ত মানিলন্ডারিং বিভিন্ন মামলায় ব্যাংকে রাখা ১ কোটি ১ লাখ ২৩ হাজার ৪২৫ টাকা ফ্রিজ করেছে। আরও ৩৫ দশমিক ১৭৩ একর জমি, ১২টি বাড়ি ও ১টি গাড়ি যার মূল্য ৩৬ দশমিক ৮২ কোটি টাকা ক্রোকের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
সিআইডি প্রধান আরো বলেন, আপনারা জানেন দেশে প্রতি বছর অন্তত ৮০ হাজার মাদক উদ্ধার সংক্রান্ত মামলা হয়ে থাকে। তবে যারা গ্রেফতার হন তাদের বেশিরভাগই মাদক বহনকারী ও সেবনকারী। অনেক সময়ে তদন্তকারী কর্মকর্তারা এই দুই শ্রেনির মধ্যেই তাদের তদন্ত শেষ করেন। ফলে আড়ালে থেকে যান মাদকের মূল গডফাদাররা। কিন্তু সিআইডি ২০২১ সাল থেকে মাদকের গডফাদারদের গ্রেফতার ও তাদের সম্পদ ক্রোক করে সরকারের কোষাগারে জমা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। এতে করে দেশের মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে একটি আতঙ্ক সৃষ্টি হবে। তারা মাদক কারবার ছেড়ে বৈধ ব্যবসা করবেন। পাশাপাশি নতুন করে কেউ এই পেশায় জড়াতে উৎসাহ পাবে না।
যাদের সম্পত্তি ক্রোক করা হয়েছে
টেকনাফ থানার মামলায় নুরুল ভুট্টোর, চট্টগ্রামের খুলশী থানার মামলায় শফিক আলম শফিকের, খুলনার লবনচরা থানার মামলায় শাহজাহান হাওলাদারের, টেকনাফ থানার মামলায় শফিক আলমের, পাবনার আতাইকুলা থানার মামলায় শাহিন আলমের, টেকনাফ থানার মামলায় নুরুল কবিরের, টেকনাফের আরেক মানিলন্ডারিং মামলায় সিদ্দিক আহমেদের, আদাবর থানার একটি মামলায় মাদক গডফাদার নুরুল ইসলামের, টঙ্গী পূর্ব থানার একটি মামলায় পারুলের ও টেকনাফ থানার মামলায় ফজর আলীর সম্পত্তি ক্রোক করেছে সিআইডি। |
News Source
|
|
|
|
|
|
|
|
Today's Other News
|
Related Stories |
|
|
|
|