জয়পুরহাটের কালাইয়ে বেসরকারি একটি ব্যাংকের এজেন্টের ৩২ লাখ
টাকা ও স্বাক্ষর করা ১৩টি চেকের পাতা নিয়ে ক্যাশিয়ার উধাও হয়ে গেছেন বলে
অভিযোগ উঠেছে। তাঁর সন্ধান না পেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী
এজেন্ট।
বৃহস্পতিবার পৌর শহরের পাঁচশিরা বাজারের এজেন্ট ব্যাংকিং শাখায় গিয়ে এ তথ্য জানা গেছে।
ভুক্তভোগী এজেন্ট জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে পাঁচশিরা বাজারে এজেন্ট ব্যাংকিং
শাখার দায়িত্ব পান স্থানীয় আঁওড়া মোড়ের আব্দুল কাদের মণ্ডল নামে এক
ব্যবসায়ী। তিনি বগুড়ার শাহজানপুর উপজেলার মাদলা মালীপাড়ার সাহিদ জামান
শুভকে ক্যাশিয়ার পদে নিয়োগ দেন। গত ডিসেম্বর মাসে এজেন্ট আব্দুল কাদের
শাখার হিসাব ক্লোজিংয়ের জন্য ক্যাশিয়ার শুভকে ৩২ লাখ টাকা এবং ১৩টি চেকের
পাতা দেন।
শুভ টাকা ও চেকের পাতা জমা না দিয়ে গোপন রাখেন। গত ১৬ এপ্রিল বিষয়টি
জানতে পারেন আব্দুল কাদের। পরে শাখায় গিয়ে তিনি জানতে পারেন, সকাল থেকে শুভ
অনুপস্থিত। এরপর পাঁচশিরা বাজারে ভাড়া বাসায় গিয়ে দেখেন, মূল ফটকে তালা
ঝুলছে। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাঁকে না পেয়ে শুভর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত
অভিযোগ দেন।
কালাই পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবু কালাম মীর বলেন,
‘ক্যাশিয়ার শুভ প্রথম দিকে ভালোই ছিল। পরে স্থানীয় কিছু বখাটে ছেলের সঙ্গে
মিশে যায়। মূলত তাদের ইন্ধনে সে এতগুলো টাকা ও স্বাক্ষরিত চেক নিয়ে গা ঢাকা
দিয়েছে। শুভর সঙ্গে তার ইন্ধনদাতাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।’
পৌর শহরের পূর্বপাড়ার বাসিন্দা এবং এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের গ্রাহক রেজাউল
করিম বলেন, তিনি দীর্ঘদিন টাকা-পয়সা লেনদেন করলেও বুঝতে পারেননি, শুভ এমন
কাজ করতে পারেন।
এ বিষয়ে এজেন্ট ব্যাংকিং শাখার পরিচালক আব্দুল কাদের জানান, ক্যাশিয়ার
শুভ তার বিশ্বস্ত ছিলেন। তাকে দিয়ে লাখ লাখ টাকার লেনদেনও করিয়েছেন। হঠাৎ
এমন পরিবর্তন হবে তা ভাবেননি। কার ইন্ধনে এ কাজ করলেন তা বুঝতে পারছেন না। এ
বিষয়ে তিনি মামলা করবেন বলে জানান।
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে সাহিদ জামান শুভর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
কালাই থানার ওসি ওয়াসিম আল বারী বলেন, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাকে না পাওয়ায় ভুক্তভোগীকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।