[ অনলাইন ] 20/04/2024 |
|
|
ভয়েস অব আমেরিকার প্রতিবেদন |
নড়বড়ে অর্থনীতি বাংলাদেশের অগ্রগতির জন্য বাধা |
|
|
একসময় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক অগ্রগতির জন্য বিশ্বে সুনাম কুড়িয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এখন সেই জৌলুস হারিয়েছে। দেশের নড়বড়ে অর্থনীতির কারণে দারিদ্র্য বিমোচনের বিপরীতে যে অগ্রগতি অর্জন করেছিল তা আজ হুমকির মুখে।
সম্প্রতি প্রকাশিত জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর মতে, দেশের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ৩.৭৮ শতাংশ প্রসারিত হয়েছে। অথচ আগের বছর প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ শতাংশ। মুদ্রাস্ফীতি ১০ শতাংশের কাছাকাছি থাকায় অর্থনীতি এখন নড়বড়ে অবস্থানে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শিল্প উৎপাদন বেড়েছে ৩.২৪ শতাংশ। গত বছর একই সময়ে এর প্রবৃদ্ধি ছিল ১০ শতাংশ। একইভাবে, ২০২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে পরিষেবা খাত বেড়েছে ৩.০৬ শতাংশ যা গত বছরের প্রবৃদ্ধির হারের অর্ধেকের কম। এই দুটি খাত একসঙ্গে অর্থনীতির ৮০ শতাংশের বেশি।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) আগে বলেছিল বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৬ শতাংশ। কিন্তু প্রবৃদ্ধি এত ধীরগতির হওয়ায় সংস্থাটি আশঙ্কা করছে আরও কম প্রবৃদ্ধি হবে যা ৫.৭ শতাংশ।
ঢাকায় সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, প্রবৃদ্ধি এত কম হওয়ার মানে চাকরির সুযোগ ও আয় কমে যাওয়া। এতে নিম্ন আয়ের লোকেদের ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে।
তবে অর্থমন্ত্রী হাসান মাহমুদ আলী আইএমএফের সংশোধন নিয়ে শঙ্কা উড়িয়ে বলেছেন, সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ ফল দিতে শুরু করেছে।
বাংলাদেশ গত এক দশকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। ২০০৬ সালে দারিদ্র্যের মাত্রা ছিল ৪১.৫ শতাংশ। ২০২২ সালে তা কমিয়ে ১৮.৭ শতাংশে নিয়ে আসা হয়েছে।
কোভিড মহামারীর কাটিয়ে অর্থনীতি আবার চালু হওয়ার পর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ চাপের মুখে পড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২১ সালের আগস্টে রিজার্ভ ছিল সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু ২০২৪ সালের এপ্রিলে তা মাত্র ২০ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে।
ওয়াশিংটন-ভিত্তিক দুর্নীতিবিরোধী পর্যবেক্ষণ সংস্থা গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির মতে, ২০০৪ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত দেশ থেকে বছরে গড়ে ৫.৫ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে। এসব রপ্তানির কোনো সঠিক রসিদও কর্তৃপক্ষের কাছে থাকে না। |
News Source
|
|
|
|
|
|
|
|
Today's Other News
|
Related Stories |
|
|
|
|