[ পাতা ১৩ ] 20/04/2024 |
|
|
|
মূল্যস্ফীতির চাপ ২০২৫ সাল পর্যন্ত থাকতে পারে :আইএমএফ |
|
|
বিশ্বব্যাপী উচ্চ মূল্যস্ফীতির ধারা শুধু এই বছরই নয়, ২০২৫ সাল পর্যন্ত থাকতে পারে বলে সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহিবল (আইএমএফ)। এজন্য উন্নত দেশগুলোকে কঠোর মুদ্রানীতি গ্রহণ করে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আইএমএফের প্রধান অর্থনীতিবিদ পিয়েরে অলিভিয়ার গৌরিঞ্চাস। বসন্তকালীন সভা উপলক্ষ্যে গণমাধ্যমে ওপিয়েরে গৌরিঞ্চাস বলেন, বৈশ্বিক অর্থনীতি বর্তমানে স্থিতিশীল। প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে এবং মূল্যস্ফীতিও কমতে শুরু করেছে। তবে সামনে আরো অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। ২০২৩ সালের উল্লেখযোগ্য স্থিতিশীল অবস্থার পর চলতি বছরের জন্য বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস সংশোধন করেছে আইএমএফ। সংস্থাটির নতুন পূর্বাভাস অনুসারে, ২০২৪ সালে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হবে ৩ দশমিক ২ শতাংশ। যদিও ঐতিহাসিক মানদণ্ডের তুলনায় প্রবৃদ্ধির এ হার এখনো কম। কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছতে না পারার কারণ হিসেবে বিশ্বব্যাপী ঋণসংক্রান্ত ব্যয় বৃদ্ধি, কোভিড-১৯ মহামারির দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও ভূরাজনৈতিক বিভক্তির মতো সংকটকে দায়ী করেছে আইএমএফ। সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২২ সালে মূল্যস্ফীতি বাড়তে শুরু করার পর তা নিয়ন্ত্রণে আনতে বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাপকভাবে সুদহার বাড়াতে থাকে। ক্রমবর্ধমান সুদহার সত্ত্বেও বৈশ্বিক অর্থনীতি অনেকটাই স্থিতিশীল ছিল। এ অবস্থায় বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি ২০২৩ সালের গড় ৬ দশমিক ৮ শতাংশের পর চলতি বছর ৫ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে যাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
আইএমএফ বলছে, শিগিগরই মূল্যস্ফীতি কমে আসবে। তবে আগামী বছরও সতর্ক থাকতে হবে। বৈশ্বিক অর্থনীতি নিরাপদ অবস্থায় ফিরে আসার বিষয়টি সামনে আসায় বহুপক্ষীয় ঋণদাতা সংস্থাটির পরামর্শ, দেশগুলোর উচিত মূল্যস্ফীতি কমানোর দিকে অগ্রাধিকার দেওয়া। কয়েকটি উন্নত দেশের সামপ্রতিক মূল্যস্ফীতির তথ্য তুলে ধরে পিয়েরে গৌরিঞ্চাস বলেন, মূল্যস্ফীতি হ্রাসের এ প্রবণতা উত্সাহজনক। তবে আমরা এখনো কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছতে পারিনি। যুক্তরাষ্ট্রের সামপ্রতিক অর্থনৈতিক তথ্য বলছে, ফেডারেল রিজার্ভের নেতৃত্বে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে দেশটির লড়াই স্থবির হয়ে আসতে পারে। এছাড়া জিসিসিভুক্ত দেশগুলোও বছরের শেষ পর্যন্ত তাদের বিধিনিষেধমূলক নীতি থেকে পিছু হটতে পারে।
ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংক এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ড চলতি বছর জুনের মধ্যে তাদের কঠোর নীতি থেকে সরে আসতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। আইএমএফের প্রত্যাশা, গত মার্চের পূর্বাভাস অনুসারে, ফেডারেল রিজার্ভ সুদহার এ বছর ৫ দশমিক ৪ থেকে ৪ দশমিক ৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে পারে। এছাড়া ব্যাংক অব ইংল্যান্ড ৫ দশমিক ৩ থেকে ৪ দশমিক ৮ শতাংশে এবং ইসিবি ৪ শতাংশ থেকে ৩ দশমিক ৩ শতাংশে কমিয়ে আনবে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোকে তাদের আসন্ন সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। কারণ হিসেবে সংস্থাটি উল্লেখ করেছে, খুব বেশি সময় সুদহার ধরে রাখা এবং খুব তাড়াতাড়ি কমানো উভয়ই অর্থনীতির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। |
No link found |
|
|
|
|
|
|
|
Today's Other News
|
Related Stories |
|
|
|
|