[ অনলাইন ] 20/04/2024 |
|
|
|
আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট চালানোর অনুমতি চেয়েছে এয়ার অ্যাস্ট্রা |
|
|
গত এক বছর অভ্যন্তরীণ রুটে চালানোর পর এখন আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট চালাতে চায় বেসরকারি এয়ারলাইন্স এয়ার অ্যাস্ট্রা। সেই লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে এয়ারলাইন্সটি। গত মার্চ মাসে ভারত ও নেপালের তিন রুটে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমোদন চেয়ে বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কাছে আবেদন করেছে সংস্থাটি। অনুমতি পেলে চলতি বছরের জুন-জুলাইয়ে ফ্লাইট শুরু করতে চায় তারা। অপরদিকে চলতি বছরের নভেম্বরে দেশের আকাশে ডানা মেলতে চায় ‘ফ্লাই ঢাকা’ এয়ারলাইন্স। এ জন্য প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে সংস্থাটি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালান করা এয়ার অ্যাস্ট্রার জন্য সময়ের ব্যাপার মাত্র। কারণ তারা সফলতার সঙ্গে গত এক বছর আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। ফ্লাই ঢাকাও চলতি বছরের নভেম্বরে দেশের আকাশে ডানা মেলবে। ফলে দেশের অ্যাভিয়েশন খাত আরও সমৃদ্ধ হবে।
আন্তর্জাতিক সুবিধাসম্পন্ন থার্ড টার্মিনাল চালু হলে যাত্রী চলাচল বাড়বে। সেই চাহিদা সামাল দিতে বিদেশি এয়ারলাইন্সের সঙ্গে দেশীয় এয়ারলাইন্সগুলো প্রতিযোগিতা করতে পারবে। গত ২৫ বছরে অর্থ সংকটে আটটি বেসরকারি বিমান সংস্থা তাদের কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। সর্বশেষ ২০২২ সালে রিজেন্ট এয়ারওয়েজের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এরপরও এয়ার অ্যাস্ট্রার কার্যক্রম শুরু করে আন্তর্জাতিক গন্তব্যে ফ্লাইট শুরুর অপেক্ষা এবং নভেম্বরের মধ্যে ফ্লাই ঢাকার কার্যক্রম শুরুর খবর নিঃসন্দেহে দেশের অ্যাভিয়েশন শিল্পের জন্য সুখবর।
এয়ার অ্যাস্ট্রা সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে ভারতের কলকাতা, নেপালের কাঠমান্ডু এবং পোখারা রুটে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে। গত মার্চ মাসে বেবিচক এবং ভারত-নেপালের সিভিল অ্যাভিয়েশন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। তবে শুরুতেই ঢাকা থেকে নেপালের পর্যটনপ্রিয় নগরী পোখারায় সরাসরি ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। এটি চালু হলে বাংলাদেশ ও নেপালের এয়ারলাইন্সগুলোর মধ্যে প্রথম এ রুটে যাতায়াত করবে নবীনতম এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠানটি। নেপালে ফ্লাইটের অনুমতির পাশাপাশি অবতরণ ফি, জ্বালানি কর এবং পার্কিং চার্জসহ ফি ছাড় চাওয়া হয়েছে। এ তিনটির যেকোনো একটি রুটের অনুমতি পেলে নিজেদের বহরে থাকা এটিআর ৭২-৬০০ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।
এয়ার অ্যাস্ট্রার জনসংযোগ বিভাগের উপ-ব্যবস্থাপক সাকিব হাসান শুভ সময়ের আলোকে জানান, বাংলাদেশি পর্যটকদের অধিকাংশই পোখারা যায়। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে পোখারায় কোনো এয়ারলাইন্সই সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করে না। এ ছাড়া পোখারা বিমানবন্দর ট্যুরিজমের একটি হাব। তাই এ রুটে ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনা করেছে এয়ার অ্যাস্ট্রা। অনুমতি মিললে কাঠমান্ডু রুটে সপ্তাহে তিন দিন ও পোখারায় সপ্তাহে তিন দিন ফ্লাইট পরিচালনা করবে প্রতিষ্ঠানটি। তবে এখনো কোনো ভাড়া নির্ধারণ করা হয়নি।
বহরে দুইটি এটিআর ৭২-৬০০ নিয়ে ২০২২ সালের ২৪ নভেম্বর প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করে এয়ার অ্যাস্ট্রা। বর্তমানে তাদের বহরে এয়ারক্রাফটের সংখ্যা তিনটি। এয়ারলাইন্সটি বর্তমানে ঢাকা থেকে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, সিলেট ও সৈয়দপুরে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এয়ার অ্যাস্ট্রার সিইও ইমরান আসিফ বলেন, বর্তমানে এয়ার অ্যাস্ট্রার বহরে মোট তিনটি এয়ারক্রাফট রয়েছে। এপ্রিলের শেষে মে মাসে আরেকটি এটিআর যুক্ত হবে। তিন রুটের ফ্লাইট পরিচালনার বিষয়ে বেবিচককে জানিয়েছি। কাঠমান্ডু ও পোখারা রুট দিয়েই আমরা আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট চালু করতে চাই। তবে যে রুটের অ্যাপ্রুভাল আগে আসবে, সেই রুটে আমরা আগে ফ্লাইট চালু করব। আশা করছি, চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট শুরু করতে পারব।
তিনি বলেন, এ তিন রুটে এটিআর ৭২-৬০০ মডেলের (৭০ যাত্রীবাহী ফ্লাইট) প্লেন দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। তবে ভবিষ্যতে যাত্রী চাহিদার ওপর নির্ভর করে জেট বিমান দিয়েও ফ্লাইট পরিচালনা করা হতে পারে। অদূর ভবিষ্যতে যখন আমাদের বহরে বোয়িং বা এয়ারবাসের ন্যারো বডি (মাঝারি আকারের) এয়ারক্রাফট আসবে তখন আমরা অন্য রুটে ফ্লাইট চালু করব।
অপরদিকে, চলতি বছরের নভেম্বরে দেশের ১২তম বেসরকারি এয়ারলাইন্স হিসেবে অভ্যন্তরীণ রুটে ডালা মেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ফ্লাই ঢাকা। এ জন্য এটিআর ৭২-৬০০ মডেলের উড়োজাহাজ দিয়ে শুরু করার পরিকল্পনা করছে সংস্থাটি।
ফ্লাই ঢাকা এয়ারলাইন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোল্লা ফজলে আকবর বলেছেন, এই বছরের নভেম্বরের মধ্যে একটি নতুন এয়ারলাইন্স হিসেবে ডানা মেলতে প্রস্তুত ফ্লাই ঢাকা। ইতিমধ্যে জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য আন্তর্জাতিক নানা গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচলনা করা। আমরা সেই লক্ষ্য নিয়েই এগোচ্ছি।
ফ্লাই ঢাকা চালু হলে দেশে মোট বেসরকারি এয়ারলাইন্সের সংখ্যা হবে চারটি। অন্য তিনটি এয়ারলাইন্স হলো নভো এয়ার, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এবং এয়ার অ্যাস্ট্রা।
|
News Source
|
|
|
|
|
|
|
|
Today's Other News
|
Related Stories |
|
|
|
|