Hawkerbd.com     SINCE
 
 
 
 
ব্যাংক ডাকাতি রোধে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে [ অনলাইন ] 24/04/2024
ব্যাংক ডাকাতি রোধে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে
সম্প্রতি পার্বত্য জেলা বান্দরবানে তিনটি ব্যাংকে দিনেদুপুরে হামলার ঘটনা ঘটে। রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের একটি শাখা থেকে অস্ত্র-টাকা লুট ও কর্মকর্তাকে অপহরণও করা হয়। ডাকাতির এই ঘটনার পর সারা দেশে ব্যাংকগুলোর দায়িত্বশীলদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে। নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে দেশের সব ব্যাংকের ভেতরের ও বাইরের এলাকা সিসিটিভি কিংবা এনভিআর (নেটওয়ার্ক ভিডিও রেকর্ডার)-এর আওতায় নিয়ে আসারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিষয়গুলো নিয়মিত পুলিশ সদর দফতর থেকে মনিটরিং করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন দায়িত্বশীলরা।

পুলিশ সদর দফতর সূত্র জানায়, বান্দরবানের কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) তৎপরতা শুরুর পর জঙ্গি, সন্ত্রাসী ও উগ্রবাদীদের নিয়ে কিছুটা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বেড়েছে। যদিও বর্তমানে সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ শান্ত ও অনুকূলে আছে।

গত ২ এপ্রিল রাতে বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকের শাখায় কেএনএফ সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ম্যানেজারকে অপহরণ, অস্ত্র লুট ও ব্যাংকের ভল্টের টাকা লুটের চেষ্টা করে। পর দিন একই জেলার থানচি উপজেলায় সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকের শাখায় সন্ত্রাসীরা হানা দেয়। তারা থানচি বাজারের আশপাশে ফাঁকা গুলি চালিয়ে ত্রাস তৈরি করে। গুলি করতে করতে ব্যাংকে প্রবেশ করে ক্যাশে থাকা নগদ টাকা নিয়ে যায়।

এসব ঘটনার পরপরই বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়।

ইতোমধ্যে সারা দেশে সোনালী ব্যাংকের ১ হাজার ২৩২টি শাখায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। অবশিষ্ট শাখাগুলোয় সিসিটিভি কিংবা এনভিআর ক্যামেরা স্থাপনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলেও জানানো হয়। একইসঙ্গে জনতা ব্যাংক পিএলসি, অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি, রূপালী ব্যাংক পিএলসি, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক পিএলসি এবং বেসিক ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান কার্যালয় ও সব ডিভিশনসহ প্রতিটি শাখায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে নিরাপত্তার বিষয়টি সমন্বয় করা হচ্ছে। এ নিয়ে একাধিকবার সংশ্লিষ্টদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ ও দমনে পুলিশের বিশেষায়িত সংস্থা অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের (এটিইউ) পুলিশ সুপার (অপারেশন্স) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, একটা অজানা আশঙ্কা তো থেকেই যায়। বান্দরবানের ঘটনার পর উদ্বেগটা থাকতেই পারে। তবে বর্তমানে অনেক এজেন্সি সুনির্দিষ্টভাবে এগুলো নিয়ে কাজ করছে। যা আগে এভাবে হতো না। বর্তমানে সারা দেশে কোন গোষ্ঠীর কতটুকু ক্ষমতা, সক্ষমতা, কে কতটুকু করতে চায় সেটা আমরা বুঝতে পারি। আমাদের ইন্টেলিজেন্স আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। তারপরও সবাইকে সতর্ক থাকতে হয়। সতর্কতায় জোর দিতে হয়। এক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার কোনও সুযোগ নেই।

সব ব্যাংকে নিরাপত্তা জোরদারের বিষয়ে পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি (অপারেশন্স) মো. আনোয়ার হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সম্প্রতি যেসব ঘটনা ঘটেছে সেসব বিষয়ে পুলিশ সদর দফতর থেকে ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ের সব ইউনিটকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে পার্বত্য এলাকাকেন্দ্রিক নিরাপত্তা আরও জোরদার করার জন্য বলা হয়েছে। নিয়মিত গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করা, নিজেদের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানো, ক্যাম্প, ফাঁড়ি ও তদন্তকেন্দ্রে যে জনবল আছে সেগুলো সমন্বয় করে কাজ করতে বলা হয়েছে। প্রয়োজন হলে অন্য এলাকা থেকে নিয়ে হলেও জনবল বাড়াতে বলা হয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে বলা হয়েছে। এটা আমরা পুলিশ সদর দফতর থেকে নিয়মিত মনিটরিং করছি।

জঙ্গিরাও এই সুযোগ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমন আশঙ্কা করছি না। তবে সতর্ক থাকার জন্য সবাইকে বলা হয়েছে, যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। সংশ্লিষ্ট ভবন ও জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে স্থাপিত সিসিটিভির ফুটেজ যাতে প্রয়োজনে কাছের থানা পুলিশ পেতে পারে সে বিষয়েও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
News Source
 
 
 
 
Today's Other News
More
Related Stories
 
Forward to Friend Print Close Add to Archive Personal Archive  
Forward to Friend Print Close Add to Archive Personal Archive  
 
 
Home / About Us / Benifits / Invite a Friend / Policy
Copyright © Hawker 2013-2012, Allright Reserved