নিউইয়র্কে এক সুধী সমাবেশে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আফজাল
করিম বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে ডলারের সাথে টাকার মানের যে অস্থিরতা চলছিল,
অনেকে ধারণা করেছিলেন যে, অচিরেই হয়তো প্রতি ডলারের বিপরীতে ২০০ টাকা
পর্যন্ত উঠে যাবে। কিন্তু আমরা তেমনটি ঘটতে দেইনি। সুচিন্তিত পদক্ষেপ
গ্রহণের কারণে অস্থিরতা দমিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছি। আফজাল করিম বলেন, বাফেদা ও
এবিবি যৌথভাবে বসে ডলারের সাথে টাকার মূল্যমাণ নির্ধারণ করেই তা অবহিত
করেছি কেন্দ্রীয় ব্যাংককে। তারাই সেটি পর্যালোচনার পর একটি নির্দেশনা জারি
করেছেন এবং সেই অস্থিরতার অনেকটাই প্রশমিত হয়েছে।
গত ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার
সন্ধ্যায় জ্যামাইকায় খলিল বিরিয়ানি হাউজের মিলনায়তনে এ সমাবেশে ঘরে অথবা
গাড়িতে কিংবা কর্মস্থলে বসে বাংলাদেশে নিজ একাউন্ট অথবা স্বজনকে বিনা ফি’তে
মুহূর্তের মধ্যে টাকা প্রেরণে সহায়ক অ্যাপ ‘এসইসিআই’ অথবা ‘সোনালী মোবাইল
অ্যাপ’ কর্মসূচি আমেরিকাতেও চালু উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে তিনি এসব কথা
বলেন।
সোনালী মোবাইল অ্যাপে টাকা পাঠালে তা হান্ড্রেড পার্সেন্ট
লিগ্যাল চ্যানেলে সম্ভব হচ্ছে এবং বাংলাদেশের জাতীয় উন্নয়নে আপনিও একজন
গর্বিত অংশীদারে পরিণত হতে পারছেন বলে উল্লেখ করেন আফজাল করিম। তিনি আরো
বলেন, ক্রেডিট কার্ড অথবা ডেবিট কার্ড ব্যবহার করতে হচ্ছে এই অ্যাপে টাকা
পাঠাতে। নিউইয়র্ক, নিউজার্সী, মিশিগান, ফ্লোরিডাসহ ৬টি স্টেট থেকে এই
অ্যাপের সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে।
সোনালী ব্যাংকের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ‘সোনালী
এক্সচেঞ্জ’র সিইও দেবেশ্রী মিত্রের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নিউইয়র্কস্থ
কন্সাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদাও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও
প্রবাসীদের জন্যে বাংলাদেশে সোনালী ব্যাংকের আরো কিছু বিশেষ সুবিধার আলোকে
বক্তব্য দেন ওয়েজআর্নার কর্পোরেট শাখার ডিজিএম মো. জহুরুল ইসলাম।
প্রতিষ্ঠানটির কর্পোরেট ম্যানেজার শাহাদৎ হোসেন অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে এমডি আফজাল করিমকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
নাজমুল
হুদা বলেন, এনআইডি কার্ড যাতে প্রবাসীরা করতে পারেন সে ধরনের একটি উদ্যোগ
সক্রিয় রয়েছে। শীঘ্রই নিউইয়র্ক কন্স্যুলেট থেকে যাতে এনআইডি ইস্যু করা যায়,
সে চেষ্টায় রয়েছি। এ সময় কন্সাল জেনারেল আরো জানালেন যে, কন্স্যুলেট অফিস
আরো বৃহৎ পরিসরে স্থানান্তরিত হচ্ছে। ফলে সেবা গ্রহিতাদের অনেক সমস্যাও কমে
যাবে বলে আশা করছি। নতুন স্থানের পাশেই সোনালী এক্সচেঞ্জের কর্পোরেট
অফিসও চালু হবে। কন্স্যুলার সার্ভিস নিতে আসা প্রবাসীরা রেমিটেন্সের
সুবিধাও নিতে পারবেন সেখান থেকে।
পরে এমডি আফজাল করিম অনুষ্ঠানে উপস্থিত সাংবাদিক ও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
উল্লেখ্য,
১৯৯৫ সালে চালুর পর থেকেই ম্যানহাটানে সোনালী এক্সচেঞ্জের কর্পোরেট অফিস
রয়েছে। সেটি চলে আসছে কুইন্সের এস্টোরিয়ায়। অর্থ সাশ্রয়ের জন্যে এ
পদক্ষেপের বিকল্প ছিল না বলে জানান কর্মকর্তারা। কারণ, এখন রেমিটেন্সে কোন
ফি নিচ্ছে না সোনালী এক্সচেঞ্জ। অর্থাৎ আয় বলতে কিছুই নেই। কর্মকর্তারা
বলছেন- সোনালী ব্যাংকের ভর্তুকিতেই চলছে প্রতিষ্ঠানটি।