এমন সিদ্ধান্তকে জনগণের তথ্য জানার আইনসিদ্ধ অধিকার নিশ্চিতের পথে অনৈতিক ও স্বেচ্ছাচারী পদক্ষেপ উল্লেখ করে বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘খেলাপি ঋণ, আর্থিক প্রতারণা ও জালিয়াতি এবং সার্বিক সুশাসনের অভাবসহ নানাবিধ সংকটে ব্যাংক খাত জর্জরিত। এমন সময়ে তথ্যের অবাধ প্রবাহ বন্ধের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কী বার্তা দিতে চান? তবে কি খাদের কিনারায় উপনীত ব্যাংক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নিজেদের ব্যর্থতার তথ্য গোপন করতেই এই উদ্যোগ নাকি যারা ঋণখেলাপি, জালিয়াতিসহ এ খাতের সংকটের জন্য দায়ী, তাদের স্বার্থ সুরক্ষার প্রয়াস এটি?’
গত কয়েক বছরে আর্থিক খাতের হাজার হাজার কোটি টাকা কেলেঙ্কারির তথ্যগুলোর বেশির ভাগই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকারের সূত্র ধরে এসেছে জানিয়ে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক কি তাহলে অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ঋণখেলাপি, জালিয়াতি ও অর্থ পাচারের মতো অপরাধীদের সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করছে? বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি ও নেতৃত্ব যে অপরাধী চক্রের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে, তা গোপন করতেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।