[ অনলাইন ] 28/04/2024 |
|
|
|
চাকরির টোপ, সম্পর্ক গড়ে প্রতারণায় দম্পতি |
|
|
জয়পুরহাটের এক দম্পতির বিরুদ্ধে নানা কৌশলে প্রতারণা করে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার দুপুরে জয়পুরহাট প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানান কয়েকজন ভুক্তভোগী। তবে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের মোবাইল ফোন নম্বরে কয়েক দফায় কল দিয়েও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
ফরিদুজ্জামান নামের এক আইনজীবী লিখিত বক্তব্যে শহরের নতুনহাট সরদারপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেন, তার মেয়ে সেলিনা আক্তার ছন্দা ও জামাতা আবু হেনা ওরফে ফুল মিয়ার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেন। তার ভাষ্য, ২৫ ফেব্রুয়ারি ৫ লাখ টাকা কর্জ নিয়ে ফেরত দেয়নি তারা। এ জন্য জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে লিখিত দেন। এ ছাড়াও আবু হেনা ফুলের নামে খোলা ব্র্যাক ব্যাংকের জয়পুরহাট শাখার হিসাব নম্বরের দুটি চেকও দেওয়া হয়। জামানত হিসেবে সই করেন তার শ্বশুর আনোয়ার হোসেন। কিন্তু পরে হিসাবে টাকা না থাকায় দুটি চেক প্রত্যাখ্যাত হয়। এ ঘটনায় তিনি তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন।
আরেক ভুক্তভোগী শিক্ষক ফারহানা মুশতারি বলেন, ছন্দার সঙ্গে তার পূর্বপরিচয় ছিল। সেই সুবাদে স্বামীকে নিয়ে তার বাসায় আসা-যাওয়া করতে তারা। একপর্যায়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ওষুধ কোম্পানি এসেনসিয়াল ড্রাগসে চাকরির জন্য এলাকার ৬ তরুণের কাছ থেকে ২৪ লাখ টাকা নিয়ে ওই দম্পতিকে দেন। তাদের চাকরিও হয়নি, টাকাও ফেরত পাননি। কয়েক মাস আগে চেক দিয়েছিল। ব্যাংকে গিয়ে দেখেন, এতে টাকাও নেই। তিনিও আদালতে মামলা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আবু হেনার বাড়ি বাগেরহাট সদরে। সে বাগেরহাটের এক সংসদ সদস্যের আত্মীয় ও পিএ পরিচয় দিয়ে আসছিল। ২০০৯ সালে ঢাকায় তার পরিচয় হয় সেলিনা আক্তার ছন্দার সঙ্গে। পরে বিয়ে করে হেনা জয়পুরহাটের শ্বশুরবাড়িতেই থাকে। তার ভিজিটিং কার্ডে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোগ্রাম রয়েছে। এতে নিজেকে দলের কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক উপকমিটির সদস্য হিসেবে পরিচয় দেওয়া হয়।
এস এম রাশেদুল হাসান নামের একজনের অভিযোগ, এলাকার মেয়ে হওয়ায় ছন্দার সঙ্গে পরিচয় ছিল। সে এক দিন স্বামীকে নিয়ে এসে ব্যবসার কথা বলে ১০ লাখ টাকা কর্জ চায়। তিনি ৯ লাখ টাকা দেন। এক বছর পর টাকা ফেরত চাইলে খারাপ আচরণ করে। পরে তারা ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের জয়পুরহাট শাখার একটি চেক দেয়। তিনি ব্যাংকে গিয়ে দেখেন, টাকা নেই। তিনিও আদালতে মামলা করেন।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে হেনা, তার স্ত্রী ছন্দা ও শ্বশুর আনোয়ারের ফোন নম্বরে শনিবার কয়েক দফায় কল দেন এ প্রতিবেদক। তাদের সবার নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে। |
News Source
|
|
|
|
|
|
|
|
Today's Other News
|
Related Stories |
|
|
|
|