অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মজিবুর রহমান হাওলাদার ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আলাদা দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
রোববার দুদক গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বিজন কুমার রায় বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সাড়ে চার কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আনা হয়েছে।
আসামিরা হলেন- কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান হাওলাদার (৬৮) এবং তার স্ত্রী তাছলিমা আক্তার।
মুজিবুর রহমান কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
দুদকের বিজন কুমার রায় বলেন, “২০১০ সাল থেকে ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত মুজিবুর রহমান সাত কোটি ৮২ লাখ ৮৫ হাজার ১৪০ টাকার স্থাবর ও ৪২ লাখ ৭১ হাজার ৫৮২ টাকার অস্থাবরসহ মোট আট কোটি ২৫ লাখ ৫৬ হাজার ৭২২ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন।
“তার এ সম্পদ অর্জনের বিপরীতে গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া গেছে ছয় কোটি ৭৬ লাখ ৮১ হাজার ১১৯ টাকা। সেই সময়ে তার পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয়ের পরিমাণ ছিল এক কোটি ৯৭ লাখ ৪০ হাজার ৪২০ টাকা। ব্যয় বাদ দিলে তার নিট আয় থাকে চার কোটি ৭৯ লাখ ৪০ হাজার ৬৯৯ টাকা। মুজিবুর রহমানের জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে তিন কোটি ৪৬ লাখ ১৬ হাজার ২৩ টাকার অসঙ্গতি পাওয়া যায়।”
তিনি আরও বলেন, “মুজিবুর রহমানের স্ত্রী তাছলিমা আক্তার দুদকে জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে দুই লাখ ১৮ হাজার ৮০ টাকার কথা উল্লেখ করেন। তার নিজের কোনো আয় নেই। অথচ তিনি জ্ঞাত আয় বহির্ভূত এক কোটি ৪৩ লাখ ২৯ হাজার ২৮৫ টাকার সম্পদ নিজ নামে ভোগদখলে রেখেছেন।”
দুদক আইন এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে তাছলিমার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বলে জানান বিজন কুমার রায়।
অভিযোগ অস্বীকার করে মুজিবুর রহমান বলেছে, “জ্ঞাত আয় বহির্ভূত কোনো সম্পদ আমার নেই। আয়কর ফাইলে আমার সব সম্পদ দেখানো আছে। আবারও উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় আমার জনপ্রিয়তা দেখে একটি পক্ষ দুদককে দিয়ে এ মামলা করিয়েছে।”
নির্বাচনে এ মামলা কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে দাবি করেছেন মুজিবুর রহমান।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে কোটালীপাড়া উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে।