চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় গ্রেপ্তার
হয়েছিলেন বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহাবুবা
নাসরিন রূপা। এ ঘটনায় তাঁকে ভাইস চেয়ারম্যানের পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য পদও হারান তিনি। সেই রূপা এবার
দুপচাঁচিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী।
ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রূপা
মনোনয়নপত্রের সঙ্গে যে হলফনামা দাখিল করেছেন তাতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলা
থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন বলে উল্লেখ করেন।
প্রতিরক্ষা মহাহিসাব নিরীক্ষকের অধীন অডিটর পদে নিয়োগ পরীক্ষায়
প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ২০২২ সালের ২১ জানুয়ারি ঢাকার মিরপুর, কাকরাইল ও
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাহাবুবা নাসরিন রূপাসহ ১০ জনকে
গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। ওই বছরের ২ জুন
রূপাকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত থাকার ঘটনায় বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির
সদস্য পদ থেকেও তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। সেই মাহাবুবা নাসরিন রূপা
দুপচাঁচিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় তাঁকে নিয়ে চলছে আলোচনা।
অনেকদিন পর এলাকায় ফিরে ভোট চাইছেন তিনি।
রূপা হলফনামায় লিখেছেন, তাঁর বার্ষিক আয় ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা। তার মধ্যে
বাড়ি ও দোকান ভাড়া থেকে পান ২ লাখ টাকা, ব্যবসা থেকে ৮০ হাজার টাকা ওবং
শেয়ার সঞ্চয় থেকে ১০ হাজার টাকা। হাতে নগদ রয়েছে ১ লাখ টাকা। আর আছে ১০ ভরি
স্বর্ণালংকার। আসবাবপত্র আছে ৫৪ হাজার টাকার।
মাহাবুবা নাসরিন রূপার দবি, তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল। পরে
পুলিশ অধিকতর তদন্ত করে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। স্থানীয় সরকার
মন্ত্রণালয়ও বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে।
জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আল রাজী জুয়েল বলেন, ‘মাহাবুবা নাসরিন
রূপাকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলেও পরে তাঁকে দলে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।’