[ অনলাইন ] 30/04/2024 |
|
|
|
শাহজালাল ব্যাংকে রিজেন্ট টেক্সটাইলের খেলাপি ১৩৯ কোটি টাকা |
|
|
চট্টগ্রামভিত্তিক হাবিব গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বন্ধ কোম্পানি রিজেন্ট টেক্সটাইল লিমিটেড সম্প্রতি রিজেন্ট টেক্সটাইল শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসিতে খেলাপি গ্রাহক হয়েছে। ব্যাংকটির জুবলি রোড শাখায় খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১৩৯ কোটি ৫৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। খেলাপি পাওনা আদায়ে আগামী ২১ মে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বন্ধকিতে থাকা জমিসহ কারখানা নিলামে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে।
ব্যাংক ও হাবিব গ্রুপ সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের পুরোনো শিল্প পরিবারগুলোর একটি হাবিব গ্রুপ। ১৯৪৭ সালে এ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা হাবিব উল্লাহ মিয়া ট্রেডিং ব্যবসার মাধ্যমে যাত্রা শুরু করেন। তারপর তার তিন সন্তান ইয়াকুব আলী, মাহবুব আলী ও ইয়াসিন আলী ব্যবসায়িক জ্ঞান, যোগ্যতা আর সাফল্যে সিমেন্টশিল্প, জাহাজ ভাঙা, টেক্সটাইল, বিদ্যুৎ উৎপাদন, সার কারখানা, পেপার, এভিয়েশনসহ অন্যান্য খাতে ব্যবসা সম্প্রসারণ করেন এবং এগুলো হাবিব গ্রুপে রূপান্তরিত হয়। পাশাপাশি একাধিক ব্যাংক ও বীমা প্রতিষ্ঠানের সক্রিয় অংশীদারিত্ব বাড়ে। এমন সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় এবার যুক্ত হয়েছে খেলাপি উপাধিও। এ গ্রুপের একাধিক প্রতিষ্ঠান দেশের বিভিন্ন বাণিজ্যিক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে খেলাপি হয়ে পড়েছে। এর ধারাবাহিকতায় এবার খেলাপি হলো শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির জুবলী রোড শাখায়। খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১৩৯ কোটি ৫৪ লাখ ৪০ হাজার ৭৮৮ টাকা। খেলাপি পাওনা আদায়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বন্ধকিতে থাকা বোয়ালখালী উপজেলার চর খিজিরপুরে পাঁচ একর জমি, ভবন, কারখানা প্রভৃতি নিলামে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে। এতে আগ্রহী ক্রেতা উপস্থিত হয়ে নিলামে এসব সম্পত্তি কিনতে পারবেন।
এদিকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় টেক্সটাইল খাতের কোম্পানি রিজেন্ট টেক্সটাইল। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ। যদিও প্রতিষ্ঠানটির অনুমোদিত মূলধন ১৫০ কোটি টাকা। আর পরিশোধিত মূলধন ১২৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের ৫৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ৪০ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকালীদের হাতে ৪ দশমিক ৬১ শতাংশ শেয়ার মালিকানা রয়েছে। গতকাল সোমবার শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ৫ টাকা ১০ পয়সা।
শাহজালাল ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেন, হাবিব গ্রুপের সুনাম ও বাবসায়িক সাফল্য সবার জানা। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে জাহাজ ভাঙ্গা ও এভিয়েশন ব্যবসায় লোনসানে আছে। যার ফলাফল দেশের শীর্ষ ঋণ খেলাপি তালিকায় তদের নাম। আর খেলাপি ঋণের দায়ে এ গ্রুপের মালিকরা দেশে ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে এ গ্রুপের বিভিন্ন ব্যাংকের বিনিয়োগ আছে কয়েক হাজার কোটি টাকা। এসব নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।
হাবিব গ্রুপে কর্মরত কয়েকজন কর্মী বলেন, বর্তমানে এ গ্রুপের ব্যাংক খাতে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণ রয়েছে। মূলত জাহাজ ভাঙা আর এয়ারলাইনস ব্যবসায় বড় ধরনের লোকসানের কারণে এখন আমাদের নগদ প্রবাহে সমস্যা হচ্ছে। এ কারণে বিভিন্ন ব্যাংকের পাওনা পরিশোধে বিলম্ব হচ্ছে। এতে খেলাপি তালিকায় নাম আসছে। কোনো কোনো ব্যাংকে স্পেশাল ম্যানশন অ্যাকাউন্ট (এএমএ) রয়েছে, আর কোনোটায় একাধিক কিস্তি অপরিশোধিত হয়ে আছে। এক ব্যাংকে পাওনা পরিশোধ করতে গেলে আরেক ব্যাংকে পাওনা বেড়ে যায়। তাই মালিক পক্ষকে বলেছি পাওনা পরিশোধ আপাতত বন্ধ রাখুন। এতে হয়তো পাওনা পরিশোধে কিছুটা সময় লাগছে। সব পাওনা পরিশোধ করা হবে। তারা আরও বলেন, মালিক পক্ষ পাওনা পরিশোধের চেষ্টা করছে।
সাম্প্রতিক সময়ে আলাপকালে রিজেন্ট টেক্সটাইলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালমান হাবিব শেয়ার বিজকে বলেন, আমরা কিছু প্রতিষ্ঠান চালু করার চেষ্টা করছি। এসব বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। তবে সময় লাগবে। এছাড়া আমাদের আর্থিক অবস্থা এখন ভালো নয়। |
News Source
|
|
|
|
|
|
|
|
Today's Other News
|
Related Stories |
|
|
|
|