গ্যাস খাতে ভর্তুকি সীমিত রাখার জন্য সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের বিক্রয়মূল্য সমন্বয় করেছে।
মে মাস থেকে শুধুমাত্র বিদ্যুৎ শ্রেণিতে ও ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ শ্রেণিতে
ব্যবহৃত গ্যাসের যথাক্রমে ১৪.৭৫ টাকা/ঘনমিটার এবং ৩০.৭৫ টাকা/ঘনমিটার হতে
প্রতি ঘনমিটারে ০.৭৫ টাকা বৃদ্ধি করে বিদ্যুৎ শ্রেণিতে গ্যাসের দাম ১৫.৫০
টাকা/ঘনমিটার এবং ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ শ্রেণিতে গ্যাসের মূল্য ৩১.৫০
টাকা/ঘনমিটারে নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে অন্যান্য শ্রেণিতে গ্যাসের দাম
অপরিবর্তিত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশে গ্যাসের ব্যবহারকারীদের ৮টি গ্রাহকশ্রেণি রয়েছে। তার মধ্যে
বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৩৭%, শিল্পে ২৩%, ক্যাপটিভ বিদ্যুতে ১৮%, গৃহস্থালিতে ১০%,
সার উৎপাদনে ৭%, সিএনজিতে ৪% এবং বাণিজ্যিক ও চা শিল্পে ১% গ্যাস ব্যবহৃত
হয়।
প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন, আমদানি, সরবরাহ মূল্যের সঙ্গে বিক্রয়মূল্যের
পার্থক্যের কারণে সরকারকে এ খাতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আর্থিক ক্ষতি/ ভর্তুকি
দিতে হবে প্রায় ৬ হাজার ৫৭০ দশমিক ৫৪ কোটি টাকা। কৃষি সেচ মৌসুম, রমজান মাস
ও গ্রীষ্মকালে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের চাহিদা আরো বেশি থাকে। শিল্প,
গৃহস্থালি, সার উৎপাদন, সিএনজি, বাণিজ্যিক ও চা শিল্পে মূল্য সমন্বয়
অপরিবর্তিত রয়েছে।