পদ্মা ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে নেওয়া ৮৬
কোটি ৭২ হাজার টাকা ঋণ পরিশোধ না করায় চট্টগ্রামের জেসিকা গ্রুপের
চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন আহমেদের সম্পত্তি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ
ছাড়া জসিম উদ্দিন আহমেদ ও তার স্ত্রী তানজিনা সুলতানা জুহিকে পাঁচ মাসের
দেওয়ানি আটকাদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি
পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালতের বিচারক যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মুজাহিদুর রহমান এ আদেশ দেন।
ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন আহমেদ চট্টগ্রামের চন্দনাইশের বাসিন্দা জানিয়ে
আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম বলেন, ব্যাংকের পক্ষে দাখিলীয় দরখাস্তের
প্রেক্ষিতে বিচারক ব্যবসায়ী দম্পতির বিরুদ্ধে দেওয়ানি আটকাদেশ ও গ্রেপ্তারি
পরোয়ানা জারি করেছেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০২০ সালে পদ্মা ব্যাংকের পক্ষ থেকে ৮৮ কোটি টাকা
আদায়ের লক্ষ্যে জেসিকা ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের এমডি জসিম উদ্দিন
আহমেদ ও তার স্ত্রী তানজিনা সুলতানা জুহির বিরুদ্ধে অর্থঋণ আদালতে মামলাটি
দায়ের হয়। মামলার প্রেক্ষিতে এর আগে গত ৪ এপ্রিল একই আদালত জসিম উদ্দিন
আহমদ ও তার স্ত্রী জুহিকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন। কিন্তু শর্ত মোতাবেক
ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করে তারা বিলাসী জীবনযাপন অব্যাহত রাখে। বিলাসবহুল
রেঞ্জ রোভার গাড়িতে চড়ে সমাজ সেবার নামে দুই হাতে টাকা খরচ করতে থাকেন।
সর্বশেষ মঙ্গলবার জসিম উদ্দিনের মালিকানাধীন দুটি গাড়ি, দক্ষিণ খুলশীর জসিম
হিল পার্ক, পাথরঘাটা এলাকায় ছয়তলা ভবন ‘মফজল টাওয়ার’ ও চন্দনাইশ এলাকার
একটি ডুপ্লেক্স ভবন ক্রোকের আদেশ দেন আদালত।
পদ্মা ব্যাংকের প্যানেল আইনজীবী রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বলেন, আসামি
তৎকালীন ফার্মাস ব্যাংক (বর্তমান পদ্মা ব্যাংক) থেকে প্রায় ৬০ কোটি ঋণ
নিয়েছিলেন। সেই ঋণ পরিশোধ না করায় ২০২০ সালে মামলাটি দায়ের করা হয়। ২০২২
সালে আদালত কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে লালদিঘি এলাকায় জেসিকা
গ্রুপের মালিকানাধীন মহল মার্কেটের রিসিভার নিয়োগ দেন। সে সময় জসিম উদ্দিন
২৪ কোটি টাকা পরিশোধ করেন এবং প্রতি মাসে এক কোটি টাকা করে পরিশোধের
অঙ্গীকার করেন। এর পরে গত ১৫ মাসে কোনো অর্থ পরিশোধ করেননি।