Hawkerbd.com     SINCE
 
 
 
 
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তপথ স্বর্ণ পাচারকারীদের নিরাপদ রুট [ অনলাইন ] 01/05/2024
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তপথ স্বর্ণ পাচারকারীদের নিরাপদ রুট
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্ত পথগুলো স্বর্ণ পাচারকারীরা নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার করছে। আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর হাতে মাঝেমধ্যে দু-একটি চালানসহ দু-একজন পাচারকারী ধরা পড়লেও স্বর্ণ পাচারকারীচক্রের মূল হোতারা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। এদিকে পাচারকারীরা স্বর্ণ পাচারের জন্য পায়ের জুতা, জুতার সোল, প্যান্ট-শার্টের গোপন জায়গা, শরীরের কোমর ও পায়ুপথসহ বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২০ এপ্রিল দুপুরে খুলনা মহানগরীর লবণচরা থানার জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে ১২টি স্বর্ণের বারসহ মাসুম বিল্লাহ নামে সোনা পাচারকারী চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে ১২টি স্বর্ণের বার বাসে করে সাতক্ষীরায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে—এমন সংবাদের ভিত্তিতে নগরীর জিরো পয়েন্ট এলাকায় টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেসের একটি বাস থামিয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ। একপর্যায়ে ঐ বাসের যাত্রী মাসুম বিল্লাহর জুতার নিচে সুকৌশলে লুকিয়ে রাখা স্বর্ণের বারগুলো উদ্ধার করা হয়। ১২টি স্বর্ণের বারের ওজন ১১৬ গ্রাম, যার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ২০ লাখ টাকা। গ্রেফতারকৃত মাসুম বিল্লাহ সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার শাকড়া গ্রামের আলম গাজীর ছেলে।

এর আগে ১২ জানুয়ারি দুপুরে পুলিশ নগরীর লবণচরা থানার সাচিবুনিয়া মোড়ে টুঙ্গীপাড়া পরিবহনে অভিযান চালিয়ে ব্যাসদেব দে নামে একজন পেশাদার স্বর্ণ পাচারকারীকে ছয়টি স্বর্ণের বারসহ গ্রেফতার করে। এ সময় দায়িত্বরত তিন জন পুলিশ সদস্য তিনটি স্বর্ণের বার আত্মসাৎ করে ঐ আসামিকে ছেড়ে দেয়। পরে ঘটনাটি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানতে পারে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে লবণচরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোস্তফা জামান, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আহসান হাবীব, কনস্টেবল মুরাদ হোসেন ও স্বর্ণ পাচারকারী ব্যাসদেব দেকে  গ্রেফতার করা হয়। ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে ঐ তিন পুলিশ সদস্য জব্দকৃত সোনা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেন।

গত ৩ এপ্রিল সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারী সীমান্তের কালিয়ানী মাদ্রাসা মোড় এলাকা থেকে আমজাদ হোসেন খোকন নামে এক পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কোমরে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা এক কেজি ৪৪ গ্রাম ওজনের ৯টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। যার বাজারমূল্য ১ কোটি ২ লাখ ১০ হাজার ৩২০ টাকা। স্বর্ণ পাচারকারী আমজাদ হোসেন খোকন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কালিয়ানী গ্রামের মৃত মাজেদ মোল্লার ছেলে।

গত ২২ এপ্রিল যশোরের বেনাপোলের গোগা সীমান্ত থেকে ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদস্যরা চয়ন নামে এক যুবককে আটক করে। এ সময় তার জুতার ভেতর থেকে ছয় পিস সোনার বার উদ্ধার করা হয়। সে ভারতে পাচারের জন্য ঐ সোনা নিয়ে যাচ্ছিল। যার বাজারমূল্য প্রায় ৭২ লাখ টাকা। আটক যুবক চয়ন শার্শা উপজেলার গোগা গাজিপাড়ার নুরুজ্জামানের ছেলে। এর আগে গত ২৯ মার্চ ভোরে বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালী সীমান্ত থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের ছয়টি স্বর্ণের বারসহ মনোরউদ্দিন নামে এক পাচারকারীকে আটক করে বিজিবির সদস্যরা। পাচারকারী মনোরউদ্দিন বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালী গ্রামের কদর আলীর ছেলে। জব্দ করা ৭০০ গ্রাম স্বর্ণের আনুমানিক বাজারমূল্য ৭০ লাখ।
News Source
 
 
 
 
Today's Other News
• ব্যাংক এমডি ও ব্যবসায়ী মিলে আত্মসাৎ করলেন ১০৯ কোটি টাকা
• ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যানের মামলা
• ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের তথ্য চায় সিআইবি
• ৩ কোটি টাকার আফিমসহ নারী গ্রেফতার
• ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের তথ্য জমার নির্দেশ
• ‘আমি ঘুষ নেইনি দুর্নীতি করিনি’
• সুন্দরগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
• স্ত্রীর নাম ব্যবহার করে এনএসআই কর্মকর্তার দুই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
• অনিয়মে ডুবতে বসেছে এনআরবি ইসলামিক লাইফ
• স্ত্রীসহ কাস্টমস কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
More
Related Stories
 
Forward to Friend Print Close Add to Archive Personal Archive  
Forward to Friend Print Close Add to Archive Personal Archive  
 
 
Home / About Us / Benifits / Invite a Friend / Policy
Copyright © Hawker 2013-2012, Allright Reserved