[ পাতা ১৩ ] 04/05/2024 |
|
|
|
দেশে মূল্যস্ফীতির তুলনায় মজুরি বৃদ্ধির হার কম |
|
|
দেশে গত ১৩ মাস জুড়েই মূল্যস্ফীতির হার ৯ শতাংশের ওপরে রয়েছে। কখন এটি ১০ শতাংশের কাছাকাছি যাচ্ছে। মূল্যস্ফীতি যে হারে বাড়ছে, দেশে মজুরি বৃদ্ধির হার তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে না। দেশে গত মার্চে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯.৮১ শতাংশ। অথচ ঐ মাসে শ্রমিক মজুরি বৃদ্ধির গড় হার ৭.৮০ শতাংশ। কেবল মার্চ মাসই নয়, টানা ২৬ মাস ধরেই মজুরি বৃদ্ধির হার মূল্যস্ফীতির অনেক নিচে। আর খাদ্য মূল্যস্ফীতি প্রায়ই সার্বিক মূল্যস্ফীতিকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের শ্রমজীবীসহ নিম্ন আয়ের মানুষ প্রয়োজনের তুলনায় কম খাদ্য গ্রহণ এবং চাহিদা ছেঁটে জীবনযাপনের ব্যয় সংকুলান করছেন।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, প্রকৃত আয় না বাড়ায় শ্রমিকদের ভোগ ব্যয় কমছে। দীর্ঘ মেয়াদে জীবনযাত্রার মান কমে যাচ্ছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ তথ্যমতে, গত মার্চে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯.৮১ শতাংশ। আগের বছরের একই মাসে যা ছিল ৯.৩৩ শতাংশ। চলতি বছরের মার্চে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল আরো বেশি, ৯.৮৭ শতাংশ। আর ১২ মাস ধরে গড় মূল্যস্ফীতির হার ৯.৬৯ শতাংশ। কিন্তু সে অনুযায়ী বাড়েনি শ্রমজীবীদের মজুরি। বিষয়টি বিবিএসের তথ্যেও উঠে এসেছে। গত মার্চে সাধারণ মজুরি বৃদ্ধির হার ছিল ৭.৮০ শতাংশ। নিম্ন আয়ের মানুষকে মজুরির একটি বড় অংশই ব্যয় করতে হচ্ছে খাদ্যদ্রব্য ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতেই। অথচ মূল্যস্ফীতির তুলনায় তাদের আয় বৃদ্ধির হার সেভাবে বাড়েনি।
বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে কম মজুরি বাড়ছে শিল্প খাতের শ্রমিকদের। গত মার্চে এ খাতের মজুরি বৃদ্ধির হার ছিল ৭.৩২ শতাংশ। অর্থাত্ সাধারণ মজুরির তুলনায় তাদের মজুরি বৃদ্ধির হার আরো কম। যদিও কৃষি ও সেবা খাতের শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির হার ছিল ৮ শতাংশের বেশি। দেশে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির আগেও মূল্যস্ফীতির তুলনায় শ্রমিকের মজুরি হার ছিল বেশি। পণ্যের দামের চেয়ে মজুরি বেশি পাওয়ায় শ্রমিকের প্রকৃত আয় বা ক্রয়ক্ষমতাও বেশি ছিল তখন। কিন্তু ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত টানা ২৬ মাস ধরে মূল্যস্ফীতির চেয়ে শ্রমের মূল্য কম, যা নতুন করে ভাবাচ্ছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন এভাবে চলতে থাকলে দীর্ঘ মেয়াদে দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়বে। বিভাগভিত্তিক হিসাবে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে মজুরি বৃদ্ধির হার ৭ শতাংশের কম। অর্থাত্ এসব এলাকায় মূল্যস্ফীতির চাপ আরো বেশি। সিলেটে মজুরি বৃদ্ধির হার ৬.৪৬ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৬.৫৩ আর বরিশালে ৬.৮৭ শতাংশ। দেশের ৬৩ খাতের তথ্য সংগ্রহ করে মজুরি বৃদ্ধির পরিসংখ্যান প্রকাশ করে বিবিএস। এর মধ্যে ১৭টি খাত কৃষিসংক্রান্ত, শিল্পসংশ্লিষ্ট ৬৩টি ও সেবাসংক্রান্ত খাত রয়েছে ১৬টি। |
No link found |
|
|
|
|
|
|
|
Today's Other News
|
Related Stories |
|
|
|
|