ময়মনসিংহ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আশরাফ হোসাইন এবারও প্রার্থী হয়েছেন। ২০১৯ সালে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হন তিনি। এর আগে ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান থেকে দলীয় প্রার্থী হয়ে চেয়ারম্যান হতে চাইলেও বিএনপি নেতার কাছে পরাজিত হন। নির্বাচন কমিশনে তাঁর দেওয়া তিনবারের হলফনামা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এবার হাতে নগদ দেখানো হয় ২ কোটি ১৯ লাখ ৯৪ হাজার টাকা, যা ২০১৪ সালের তুলনায় প্রায় ৭৪১ গুণ বেশি। পাশাপাশি তাঁর আয়-সম্পদ সবই বেড়েছে।
নির্বাচনে তিনি ছাড়াও চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে এখানে ভোট হবে।
এবারের হলফনামায় আয়ের উৎস হিসেবে কৃষি খাতে (মৎস্যসহ) ১০ লাখ ২৯ হাজার টাকা, বাড়ি ও দোকান ভাড়া থেকে ৪ লাখ ৯৮ হাজার টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। ব্যবসা থেকে আয় দেখানো হয়েছে ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে সম্মানী ভাতা ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পত্তি হিসেবে হাতে নগদ দেখানো হয় ২ কোটি ১৯ লাখ ৯৪ হাজার টাকা, যা ২০১৪ সালের তুলনায় প্রায় ৭৪১ গুণ বেশি। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ৭৫ হাজার ৭৭২ টাকা, ৯ লাখ টাকার শেয়ার, ২২ লাখ টাকার তিনটি গাড়ির কথা উল্লেখ করা হয়। হলফনামায় নিজের ২৫ তোলা স্বর্ণ দেখানো হলেও স্ত্রীর নামে কোনো স্বর্ণ দেখানো হয়নি।
স্থাবর সম্পত্তি হিসেবে অকৃষি ৬৫ দশমিক ১৫ শতাংশ জমির মূল্য দেখানো হয় ১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। চারটি দালান ও একটি মার্কেটের দালানের মূল্য ৩৪ লাখ ৬৯ হাজার টাকা। দায়দেনা হিসেবে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডে ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা, অগ্রণী ব্যাংকে ১ কোটি ২ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।
২০১৪ সালের হলফনামার তথ্য ঘেঁটে দেখা গেছে, ব্যবসা, বাড়ি ভাড়া ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে প্রাপ্ত সম্মানী আয়ের উৎস। বাড়ি ও দোকান ভাড়া থেকে বছরে আয় ১ লাখ ৩ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে আয় ৬ লাখ ৯২ হাজার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে সম্মানী থেকে আয় ১ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদ হিসেবে নগদ ছিল তাঁর হাতে ৪৬ হাজার ৬০৩ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ৩৪ লাখ টাকা ছিল। মাইক্রোবাস একটি, জিপ একটি ও কার একটির মূল্য দেখানো হয় ২১ লাখ ৬৬ হাজার টাকা।
২০১৯ সালের নির্বাচনে হলফনামায় পেশা হিসেবে উল্লেখ করেছেন আজাদ কমফোর্ট লেদার ও আজাদ ফুটওয়্যার তৈরি ও বিক্রয়, গৃহসম্পত্তি ভাড়া, কৃষিজমির আয়, মৎস্য খামার থেকে আয়। কৃষি খাত থেকে আয় দেখানো হয় ৪৫ হাজার টাকা, বাড়ি ও দোকান ভাড়া থেকে ৪ লাখ ৯৮ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে ১৬ লাখ ৬০ হাজার, মৎস্য খামার থেকে আয় ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পত্তি হিসেবে হাতে নগদ দেখানো হয় ৮৯ লাখ ৩৩ হাজার টাকা।