২১ বছরে অর্জিত সম্পদের মধ্যে ১৫ কোটি ২৬ লাখ ৯২ হাজার ৪১৬ টাকার
সম্পদের আয়ের উৎস দেখাতে পারেননি কারান্তরিণ বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরী।
এ ঘটনায় তিন মাস আগে দায়ের হওয়া দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে তাকে।
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ ড.
আবদুল আজিজ ভূঁইয়ার আদালত শুনানি শেষে আসলাম চৌধুরীকে শ্যোন অ্যারেস্ট
দেখানোর আদেশ দেন। একই সময়ে তার জামিন আবেদনও নামঞ্জুর করেন আদালত।
দুদকের আইনজীবী কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি দুদকে
দায়ের হওয়া এক মামলায় কারাবন্দি আসলাম চৌধুরীকে শোন অ্যারেস্ট দেখানোর
আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই দিন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এসময় তার
পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়। তবে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন।
এর আগে চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা
কার্যালয়-২ মামলাটি করেন দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (বিশেষ অনু. ও
তদন্ত-১) মো. জাহাঙ্গীর আলম।
মামলায় ১৫ কোটি ২৬ লাখ ৯২ হাজার ৪১৬ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখার দায়ে দুদক আইনের ২৭(১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
ইসরায়েলি
গোয়েন্দা মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে বসে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগের
মামলায় ২০১৬ সালের ১৫ মে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড থেকে গ্রেফতার হন বিএনপির
কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী। এরপর থেকে তিনি রাষ্ট্রদ্রোহ,
নাশকতা, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে আট বছর ধরে কারাবন্দি। তার বিরুদ্ধে
৫০টির অধিক মামলা রয়েছে।