চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রলীগের সিনিয়র
সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন অনিকসহ পাঁচ জনকে আসামি করে ঢাকার আদালতে মামলা করেছেন
এক ফল ব্যবসায়ী। মামলার অন্য আসামিরা হলেন-সৌরভ হাওলাদার, রিপন, হাসিবুল
হাসান হৃদয় ও হিমু।
রোববার (৫ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামানের আদালতে
এ মামলা করেন ফল ব্যবসায়ী ফয়সাল হেলাল। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে
পিবিআইকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়ী ফয়সাল হেলানকে
ভয়ভীতি দেখিয়ে তার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। হেলাল
জীবনের ভয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ থেকে বিরত
থাকে।
মামলার অভিযোগ থেকে আরও জানা গেছে, ২৬ এপ্রিল সারাদিন ব্যবসা বাণিজ্য
করে তার ব্যবসায়ের বকেয়া পাওনা টাকা থেকে দুই লাখ ৩৬ হাজার টাকা কালেকশন
করে রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার সময় নিজ বাসায় ফেরার পথে ৪২/৪৩, নর্থব্রুক হল
রোডে অবস্থিত রাজমহল হোটেলের সামনে পৌছানো মাত্র ১ নম্বর আসামি মো.
মহিউদ্দিন অনিকের নেতৃত্বে অনান্য আসামীরা বাদির গতি রোধ করে দাঁড়ায় এবং
বাদীর কাছে যা আছে সব দিয়ে দিতে বলে।
বাদী আসামিদের ভয়ে আসামিদের সাথে কথা বলতে বলতে রাজমহল হোটেলের ভিতর
ঢুকে যায়। তখন আসামিরা বাদীর পেছনে পেছনে রাজমহল হোটেলে ঢুকে বাদীকে ঘেরাও
করে ধরে বাদীর কাছে থাকা টাকা পয়সা এবং মোবাইল ফোন দিয়ে দিতে বলে। তখন ১ ও ২
নম্বর আসামি বাদীকে চর-থাপ্পর মারতে থাকে। ১ নম্বর আসামি বাদীর পকেটে থাকা
দুই লাখ ১৯ হাজার টাকা জোরপূর্বক নিয়ে যায়। তখন ২ নম্বর আসামি বাদির কাছে
আর কি আছে জানতে চায় ও দিয়ে দিতে বলে।
অন্যান্য আসামীরা বাদিকে বেদম মারপিট করে মারাত্বকভাবে আহত করে ৩ নম্বর
আসামি তার হাতে থাকা চাকু বেড় করে বাদীকে চাকু দিয়ে আঘাত করতে যায়। তখন
বাদির ডাক চিৎকারে হোটেলে কর্মরত কর্মচারীরা এগিয়ে এসে বাদীকে আসামিদের হাত
থেকে রক্ষা করে। ফলে আসামিরা বাদির মোবাইল ও মানিব্যাগে থাকা অবশিষ্ট টাকা
নিতে পারেনি। কিন্তু যাবার আগে ২ নম্বর আসামি আগামী ৭ দিনের মধ্যে বাদিকে ৫
লাখ টাকা চাঁদা দিতে বলে অন্যথায় বাদীকে জানে মেরে ফেলার হুমকী দিয়ে চলে
যায়।
মামলার
অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে বাদীকে অবৈধভাবে গতিরোধ করে আটক
করে মারধর করে মারাত্বক আঘাত করে আহত করে। এবং হত্যা করার চেষ্টা করে বাদীর
প্যান্টের পকেট থেকে ২ লাখ ১৯ হাজার টাকা জোরপূর্বক নিয়ে নেয়। এবং বাদীর
নিকট ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে এবং বাদী এ বিষয়ে কোন কর্তৃপক্ষের নিকট
বিষয়টি জানালে বাদীকে হত্যার হুমকী দেয়।