জয়পুরহাটে চাকরির টোপ দিয়ে সম্পর্ক গড়ে তুলে কোটি টাকা আত্মসাতে অভিযুক্ত সেই দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার শহরের নতুনহাট সরদারপাড়ার বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

তারা হলেন আবু হেনা ফুল ও তাঁর স্ত্রী সেলিনা আক্তার ছন্দা।

২৭ এপ্রিল ওই দম্পতিসহ তিন প্রতারকের বিরুদ্ধে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জয়পুরহাট প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন এক আইনজীবী। ২৮ এপ্রিল ‘চাকরির টোপ, সম্পর্ক গড়ে প্রতারণায় দম্পতি’ শিরোনামে দৈনিক সমকালে তাদের নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এরপর শনিবার রাতে লালপুর উপজেলার গৌরীপুর গ্রামের জাহিদুল ইসলাম জুয়েল বাদী হয়ে জয়পুরহাট সদর থানায় ওই দম্পতিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেন।

আবু হেনার বাড়ি বাগেরহাট সদরে। তিনি বাগেরহাটের এক সংসদ সদস্যের আত্মীয় ও পিএ পরিচয় দিয়ে আসছিলেন। ২০০৯ সালে ঢাকায় তার পরিচয় হয় সেলিনা আক্তার ছন্দার সঙ্গে। পরে বিয়ে করে হেনা জয়পুরহাটের শ্বশুরবাড়িতেই থাকে। তার ভিজিটিং কার্ডে আওয়ামী লীগের মনোগ্রাম রয়েছে। এতে তিনি দলের কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক উপকমিটির সদস্য বলে লেখা আছে।

মামলা থেকে জানা গেছে, জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী ফারহানা মোস্তারী জয়পুরহাট শহরের নতুনহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে চাকরি করেন। তারা সরদারপাড়া মহল্লার প্রতারকদের বাসায় ভাড়া থাকতেন। এ সুবাদে বাড়ীর মালিক আনোয়ার হোসেন, জামাই আবু হেনা ফুল মিয়া এবং তার স্ত্রী সেলিনা আক্তার ছন্দার সঙ্গে তাদের সখ্যতা গড়ে ওঠে। তারা এসেনশিয়াল ড্রাগসে চাকরি দেওয়ার কথা বলে জাহিদুল ইসলামের শ্বশুরবাড়ি এলাকার ৬ জন ব্যক্তির কাছ থেকে ২৪ লাখ নেন। কিন্তু চাকরি দিতে পারেননি। টাকা চাইলে তালবাহনা শুরু করেন। গত ২২ এপ্রিল আবু হেনা ফুল ব্র্যাক ব্যাংক জয়পুরহাট শাখার দুটি চেক জাহিদুলের স্ত্রী ফারহানাকে দেন। ব্যাংকে টাকা না থাকায় দুটি চেক নগদায়ন হয়নি।

জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবির বলেন, গ্রেপ্তার তিনজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আরেকজনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।