জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কামরুন্নাহারের
বিরুদ্ধে কিশোর-কিশোরী ক্লাবের কো-অর্ডিনেটরদের সম্মানী ভাতার টাকা
আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, গত ২০২০ সালে মহিলা বিষয়ক
মন্ত্রণালয়ের অধীনে কিশোর-কিশোরী ক্লাব স্থাপন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার
১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভাসহ মোট ১৩টি ক্লাব স্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে
ক্লাবগুলো তদারকির জন্য প্রতিটি ইউনিয়নের একজন করে সংরক্ষিত ইউপি সদস্যকে
দায়িত্ব দেয়া হয়। তাদের জন্য জনপ্রতি মাসে দুই হাজার টাকা সম্মানী বরাদ্দ
দেয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। জানা গেছে, ২০২১- ২০২২ অর্থ বছরে দুই লাখ ৮৪
হাজার টাকা দায়িত্বে থাকা কো-অর্ডিনেটরদের বরাদ্দ দেয়া হয়। সেই টাকা
বিভিন্ন মেয়াদে দায়িত্বে থাকা কো-অর্ডিনেটরদের মাঝে বিতরণ দেখানো হয়। তবে
সেই টাকা না পাওয়ার অভিযোগ করেছে দায়িত্বে থাকা কো-অর্ডিনেটররা। প্রাথর্শী
ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত সদস্য নাসিমা বেগম বলেন, আমি কিশোর-কিশোরী ক্লাবের
দায়িত্বে আছি এটা শুনেছি। ইতিপূর্বে আমি কোনো টাকা পয়সা পায়নি। গত রোববার
আমার স্বামীর কাছে রশিদ নামে একজন ৬ হাজার টাকা দিয়েছে।
তার নামে ১২ হাজার টাকা বিতরণ দেখানো হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি
বলেন, আমার নামে কতো টাকা বিতরণ দেখানো হয়েছে এটা আমি জানি না। চরগোয়ালিনী
ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সংরক্ষিত সদস্য রুসনাই বেগম বলেন, আমাকে ১০ হাজার
টাকার পরিবর্তে ৫ হাজার টাকা দিয়েছে। এ সময় কথা হয় বর্তমান সংরক্ষিত ইউপি
সদস্য মুনজুরা বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমি কয়েকদিন মহিলা বিষয়ক অফিসে
গিয়েছি এই টাকার জন্য। তারা বলেছে বরাদ্দ আসে নাই আসলে পাবেন। গত দুইদিন
আগে আমাকে ইসলামপুর বাজারে ডেকে নিয়ে ৫ হাজার টাকা দিয়েছে। আমার নামে ১২
হাজার টাকা বিতরণ দেখানো হয়েছে এটা আমি জানি না। বিতরণকৃত টাকা আত্মসাতের
বিষয়ে জানতে চাইলে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কামরুন্নাহার বলেন, আমি আমার অফিস
স্টাফকে টাকা বিতরণের দায়িত্ব দিয়েছিলাম। সে বিতরণ করে আমাকে রেজিস্ট্রার
দিয়েছে আমি তাতে স্বাক্ষর করেছি। দায়িত্বপ্রাপ্ত কো-অর্ডিনেটররা টাকা
পেয়েছে কিনা জানি না। তবে তাদের ডেকে বিষয়টি শুনবো। এ ব্যাপারে উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নই। এ রকম
অনিয়ম হয়ে থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।